এএন্ডই’র সংকটে ১৫ হাজার রোগীর মৃত্যু

ব্রিটেনের এক্সিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সী (এএন্ডই) বিভাগসমূহে বিদ্যমান সংকটের সাথে ১৫ হাজারেরও বেশী মানুষের মৃত্যু সম্পৃক্ত। জরুরী সেবার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষার কারনে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫ শ’ রোগী মারা যায়। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, হাসপাতালের জরুরী বিভাগে লোকজনের অপেক্ষা মহামারিপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছালে পরিহারযোগ্য মৃত্যুর সংখ্যা মোটামুটি তিনগুণে গিয়ে দাঁড়াতো। এনএইচএস- এর অভ্যন্তরীন উপাত্ত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এএন্ডই বিভাগে ১২ ঘন্টারও বেশী অপেক্ষায় বাধ্য হওয়া রোগীদের সংখ্যা ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ সংকট থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রেকর্ড অনুযায়ী, এএন্ডই বিভাগ এবং অ্যাম্বুলেন্স সমূহ ইতোমধ্যে সবচেয়ে কঠিন সপ্তাহের সম্মুখীন হওয়ার পর অর্থ্যাৎ হাজার হাজার অ্যাম্বুলেন্স স্টাফ, নার্স এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ধর্মঘটে যাওয়ার পর সৃষ্ট জটিল অবস্থার পর এই আহ্বান এসেছে। শুক্রবারে এই মর্মে ঘোষনা দেয়া হয় যে, আগামী ১৮ ও ১৯ জানুয়ারী নার্সরা আবারো ধর্মঘটে যাবেন। এ সপ্তাহের ধর্মঘটের দিনগুলোতে হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্স ট্রাস্টগুলো ‘জটিল পরিস্থিতি’ ঘোষনা করে। অস্বাভাবিক চাপের কারনে দেশব্যাপী এই ঘোষনা দেয়া হয়। এ সময় স্বাস্থ্য নেতৃবৃন্দ এই বলে সতর্কবানী উচ্চারণ করেন যে, এনএইচএস তার দুর্যোগপূর্ন শীতকালগুলোর মধ্যে একটির অতি উত্তপ্ত অবস্থার কাছাকাছি চলে এসেছে।
রয়াল কলেজ অব ইমার্জেন্সী মেডিসিন এর সভাপতি ডাঃ অ্যাড্রিয়ান বয়লে বলেন, অনেকগুলো বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, জরুরী বিভাগসমূহে দীর্ঘ অপেক্ষা মৃত্যুর সাথে সংশ্লিষ্ট। চিকিৎসা ও নার্সিং সেবা দীর্ঘায়িত ও হালকা হওয়া বিপজ্জনক। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তাহে অর্ধ সহস্য অতিরিক্ত মৃত্যুর ঘটনা জরুরী বিভাগে সংকট ছাড়া ১৫০ জনের মৃত্যুর পূর্বাভাসের সাথে তুলনীয়। এএন্ডই’র সাথে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ থেকে গত অক্টোবর মাসে দ্রুতগতিতে ৫০০ জনে উন্নীত হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button