‘মর্গেজ সহায়তা পর্যালোচনার মধ্যে আছে’

কেবিনেট মিনিস্টার মাইকেল গভ বলেছেন, মর্গেজ নিয়ে হিমশিম খাওয়া ব্যক্তিদের সহায়তার বিষয়টি পর্যালোচনার মধ্যে আছে। তবে যেকোন আর্থিক সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি ট্রেজারি অর্থ্যাৎ অর্থ বিভাগের ওপর নির্ভরশীল। তিনি সতর্ক করে বলেন, কভিড কিংবা জ্বালানী বিল স্কীমের ন্যায় যে কোন সহায়তা সুদের হার বৃদ্ধির ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। বিবিসি’র ধারনা, মর্গেজ সংক্রান্ত সহায়তা প্রদানের কোন পরিকল্পনা বর্তমানে অর্থ বিভাগের নেই।
যারা তাদের মর্গেজ ঋন পরিশোধ নিয়ে সমস্যায় আছে, তাদেরকে সহায়তা প্রদানে সরকার কোন পদক্ষেপ নেবে কি-না, এই মর্মে মিডিয়ার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে মিঃ গভ বলেন, পর্যালোচনার মধ্যে রাখা এবং কভিডের সময় প্রদত্ত মজুরী সহায়তা জাতীয় কোন স্কীম বা পরিকল্পনার মধ্যে তফাৎ রয়েছে। তিনি বলেন যে, সরকারী অর্থে বিশেষ সংকটসমূহ মোকাবেলা অনিবার্যরূপেই সরকারী ঋন বৃদ্ধি করে, যা সুদের হারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। কোন স্বল্পকালীন প্রতিকারের জন্য অর্থ ব্যয়ের মানে হচ্ছে যে, আমাদের সামগ্রিক অর্থনীতি দুর্বতলর অবস্থায় রয়েছে এবং সুদের হার এবং মূল্যস্ফীতি দীর্ঘ সময়ের মধ্যে উচ্চ।
লক্ষনীয় যে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার বাড়ানোর ফলে মর্গেজ রেইট চড়তে শুরু করেছে। এর অর্থ হচ্ছে, পরিশোধের ক্ষেত্রে লোকজনের পুনঃবন্ধকের অবস্থা তীব্রভাবে বেড়েছে, যখন প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা সংকুচিত। আর্থিক উপাত্ত প্রতিষ্ঠান মানিফ্যাক্টস এর নতুন পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৮ সালে কোন ব্যক্তি আড়াই লাখ পাউন্ডের ৫ বছরের নির্ধারিত মর্গেজের ক্ষেত্রে মাসিক গড়ে ২.৯২ শতাংশ অর্থ্যাৎ ১১৭৫ পাউন্ড পরিশোধ করতে হতো। বর্তমানে তা মাসিক ৫.৬২ শতাংশ কিংবা ১৫৫৩ পাউন্ড। অর্থ্যাৎ মাসিক ৩৭৮ পাউন্ড বেশী কিংবা ৫ বছরে প্রায় আরো ২৩০০০ পাউন্ড। মিঃ গভ স্বীকার করেন যে, জীবনযাত্রার ব্যাপক ব্যয়বৃদ্ধির সাথে ফিক্সড রেইট চুক্তির ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ন খরচ বৃদ্ধির সম্মুখীন হওয়ায় লোকজন ফিক্সড রেইট অর্থ্যাৎ নির্ধারিত হারের চুক্তি থেকে সরে আসছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button