তুরস্কের ইইউ সদস্যপদ লাভে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় সমর্থন

তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্তির আবেদনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র এই সমর্থন ব্যক্ত করে। এরদোগান বলেন, আংকারা সুইডেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করবে যদি তুরস্কের দীর্ঘ দিনের প্রক্রিয়াকে অনুমোদন প্রদান করে।
অবশ্য জার্মানির নেতা তার এই বক্তব্যকে এই বলে বাতিল করেছেন যে, এই দুই ইস্যুকে একত্রিত করা যাবে না। গত সোমবার হোয়াইট হাউস বলে, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ লাভের প্রত্যাশাকে সব সময় সমর্থন করে এবং অব্যাহতভাবে তা করে যাবে।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জনৈক মুখপাত্র বলেন, আমাদের মনোযোগ সুইডেনের দিকে যে ন্যাটো জোটে যোগদানের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। অপরদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ তুরস্কের ইইউতে অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ার পুনরুজ্জীবনের সাথে সুইডেনের সম্ভাব্য ন্যাটোতে প্রবেশকে যুক্ত করার বিষয়ের বিরোধিতা করেন।
গত সোমবার বার্লিনে শুলজ বলেন, এই দুটি ইস্যু সংযুক্ত নয়। তিনিই আরো বলেন, তাই আমার মতে এগুলো সংশ্লিষ্ট ইস্যু হিসেবে মনে করা উচিত নয়
শুলজ জোর দিয়ে বলেন যে, সুইডেন ন্যাটোতে যোগদানের সকল আবশ্যকীয়তা পূরণ করেছে। আমি আশা করি আমরা শীঘ্রই সুইডেনকে ন্যাটোর একজন সদস্য করে নিতে সফল হবো
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বহু আগে থেকেই সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান তুরস্কের ইইউ-তে যোগদান বিষয়ে আলোচনা পুনরুজ্জীবনের উপর নির্ভরশীল বলে উল্লেখ করে আসছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে তুরস্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, রয়েছে দীর্ঘ আলোচনা প্রক্রিয়া । তুরস্ক ১৯৬৪ সালে ইইউ’র পূর্বসূরী ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির সাথে একটি এসোসিয়েশন চুক্তি সম্পাদন করে। ইইসি’কে একজন সদস্যপ্রার্থী হওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে গণ্য করা হয়।
১৯৮৭ সালে অফিসিয়াল প্রার্থীতার জন্য আবেদনের পর একটি প্রার্থী দেশ হতে তুরস্ককে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ইইউর সদস্য হওয়ার বিষয়টি এখনো ঝুঁলে আছে নানা আপত্তির মুখে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button