যুক্তরাজ্য সরকার প্রত্যাশার চেয়ে ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড কম ঋন করেছে

বাজেট ঘাটতি তীব্র হওয়া সত্বেও যুক্তরাজ্য সরকার গত বছর প্রত্যাশার চেয়ে ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড কম ঋন করেছে। গত বছর বাজেট ঘাটতি ১৯৪৬ সালের পর চতুর্থ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স বলেছে, গত মার্চ পর্যন্ত ১২ মাসে রাষ্ট্রের রাজস্ব ও এর ব্যয়ের মধ্যে ফারাক ছিলো ১৩৯ বিলিয়ন পাউন্ড, যা এক বছর আগের তুলনায় ১৮ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী। তবে এই পরিসংখ্যান চ্যান্সেলরের গত মাসের বাজেটের পাশাপাশি অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি (ওবিআর) কর্তৃক প্রদত্ত পরিসংখ্যানের চেয়ে ১৫২ বিলিয়ন পাউন্ড কম। ব্যয় ও আয় ধারনার চেয়ে কম। এক্ষেত্রে একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ন ব্যয় হ্রাস লক্ষনীয়।
বিশ্লেষকরা বলেন, প্রত্যাশিত অংকের চেয়ে ভালো হওয়ার বিষয়টি জেরেমি হান্টকে আগামী নির্বাচনে কর কর্তন কিংবা ব্যয় বৃদ্ধির একটি সুযোগ করে দেবে। কনসালট্যান্সি ক্যাপিটাল এর প্রধান যুক্তরাজ্য অর্থনীতিবিদ রুথ গ্রেগরি বলেন, শরৎকালের বিবৃতিতে আরো একটি আর্থিক ঢিলেঢালা অবস্থা দেখলে আমরা মোটেই বিস্মিত হবো না। তবে চ্যান্সেলর বলেন, আমরা চিরকাল ঋন করতে পারি না। সরকারের ঋন হ্রাসের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এই সংখ্যাগুলো মহামারির সময়ব্যাপী এবং পুতিনের জ্বালানি সংকটকালীন সময়ে পরিবার ও ব্যবসায়সমূহকে সহায়তার জন্য অশ্রুসজলকারী অংকের অর্থ ঋনের অনিবার্য পরিনতির প্রতিফলক। এতে দেখা যায়, জাতীয় ঋন প্রতিটি বাজেটে ঘাটতির মোট অর্থ বিগত ষাটের দশকের প্রথম ভাগ থেকে উচ্চ অনুপাতের, যা ২.৫ ট্রিলিয়ন পাউন্ডে বৃদ্ধি পেয়েছে কিংবা জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯৯.৬ শতাংশ। এটা এসেছে গত বছর সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে যখন গৃহস্থালী ও ব্যবসায়গুলোকে সহায়তা করতে হয়েছে, যেগুলো ক্রমবর্ধমান জ্বালানী ব্যয় ও জীবনযাত্রার সংকটের মধ্যে হিমশিম খাচ্ছে। এক্ষেত্রে গত মার্চ পর্যন্ত এক বছরে মোট ৪১.২ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করতে হয়েছে সরকারকে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button