ব্রেক্সিট নিয়ে ভোটাভুটিতে হেরে গেলেন থেরেসা মে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতে বাধা দেওয়া বা বিলম্ব করার ক্ষমতা পার্লামেন্টকে দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ব্রিটেনের হাউস অব লর্ডস। এতে পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের এই ভোটাভুটিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের সরকারের পরাজয় ঘটেছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এদিন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে সরকারের ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় ‘অর্থপূর্ণ ভোট’ সংশোধনী আনার পক্ষে ৩৩৫ ভোট পড়ে, বিপক্ষে পড়ে ২৪৪ ভোট। নতুন এ সংশোধনীর ফলে ব্রেক্সিট বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হওয়ার পরও যদি তা সাংসদরা অনুমোদন না করেন, তাহলে মন্ত্রীদের ফের ব্রাসেলসের আলোচনার টেবিলে পাঠানো কিংবা চুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করার ক্ষমতা পেতে পারে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।ব্রাসেলসের চূড়ান্ত চুক্তি পার্লামেন্ট খারিজ করে দিলে সরকারকে হাউস অব কমন্সের ঠিক করে দেওয়া পথে হাঁটতে হবে বলেও এ সংশোধনীতে বলা হয়েছে।ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টে ভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মে-র সরকার। যদিও তাদের প্রস্তাব ছিল, সাংসদরা কেবল ব্রাসেলসের চূড়ান্ত চুক্তি নিয়ে তাদের পছন্দ অথবা অপছন্দের কথা জানাতে পারবেন। চুক্তি বাতিল কিংবা এর কার্যক্রম বাস্তবায়নে তাদের সিদ্ধান্তের এখতিয়ার থাকবে না।হাউস অব লর্ডস ওই প্রস্তাবের ওপর ‘অর্থপূর্ণ ভোটাধিকার’ প্রয়োগের সংশোধনী আনল।
“সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করা কিংবা কমন্সকে (নিম্নকক্ষ) মধ্যস্থতার নেতৃত্ব দিতে এটি (সংশোধনী) আনা হয়নি। ব্রেক্সিট বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতাটি যথেষ্ট ভালো হয়েছে কি না, এতে কমন্স ও পার্লামেন্টকে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে,” ভোটের পর বলেন লেবার পার্টির ব্রেক্সিট বিষয়ক মুখপাত্র ডায়ান হেইটার।সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সরকারের ব্রেক্সিট বিষয়ক পরিকল্পনায় এ নিয়ে সাতবার বাদ সাধল হাউস অব লর্ডস।
পার্লামেন্টের এ উচ্চকক্ষে কনজারভেটিভ পার্টির অবস্থান তুলনামূলক দুর্বল হওয়ায় ভোটের এ চিত্রকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।যে কোনো বিষয়ে বিরোধী দল ও নিরপেক্ষ সাংসদরা একত্রিত হলেই সরকারের প্রস্তাব খারিজ করে দেয় হাউস অব লর্ডস। নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ক্ষীণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় উচ্চকক্ষের সিদ্ধান্ত সেখানে পাল্টে যেতে পারে বলেও ধারণা রয়টার্সের।