এবার ফাইভ-জির পালা

5Gডিজিটাল বিশ্ব এখন কল্পনাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। নিত্যনতুন উদ্ভাবনী কৌশল এখন ফোরজি প্রযুক্তিকে ছাড়িয়ে ফাইভজি গতির পিছু নিয়েছে। এই সুবাদে মাত্র ১ সেকেন্ডেই ডাউনলোড হবে পুরো ১ জিবি ডাটা। তাও আবার স্মার্টফোন টু স্মার্টফোন। দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত প্রযুক্তি নির্মাতা স্যামসাং এই সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এ প্রযুক্তি সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটারের মধ্যে এ তথ্য বিনিময় সুবিধা উপভোগ করা যাবে। তবে এখনই এ প্রযুক্তির উপযোগী পণ্য এবং বাণিজ্যিক ব্যবহার হাতের নাগালে পৌঁছাবে না। আসছে ২০২০ সালে ফাইভজি প্রযুক্তির নেটওয়ার্কে তথ্য বিনিময় সুবিধা উপভোগ করা যাবে। পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে স্যামসাং। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উচ্চ গতির ফাইভজি সেবা জনগণের হাতে তুলে দিতে পারবে বলে আশা করছে। এদিকে একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে জাপানের টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এনটিটি ডোকোমো। তবে ২০২০ সালের আগে এ সেবা গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে ডোকোমোও। এদিকে ফাইভজির মান এখনও নির্ধারিত না হলেও বর্তমান সময়ের ফোরজি নেটওয়ার্ক অপেক্ষা ১০০ গুণ বেশি গতিশীল এবং ১০০০ গুণ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে বলে স্বপ্ন দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করছে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গ পরিসীমার সীমাবদ্ধতা বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র। এই বাধা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিষ্ঠানটি অধিক সংখ্যক অ্যান্টেনা এলিমেন্ট ব্যবহার করে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির ব্যান্ডউইথ প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্ক এরই মধ্যে ভিডিও ফাইলের চাপে ভেঙে পড়ার দশা। এর সঙ্গে ফোরকে কনটেন্ট আতঙ্কিত করে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটিকে। আর তাই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে দ্রুত আপগ্রেড করার জন্য উঠে পরে লেগেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এখনও বিশ্বের অনেক দেশে ফোরজি নেটওয়ার্কেরই প্রচলন হয়নি। এবারে ফোরজি থেকে ফাইভজি প্রযুক্তির উন্নয়নে তথ্যগত বিনিময়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে। এটা অনেকটা ধারণাকেও হার মানাবে। ফাইভজি প্রযুক্তিতে তথ্য বিনিময়ে তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতাই থাকবে না। এ জন্য নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ ফাইভজি নেটওয়ার্কে গ্রাহকেরা ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) মুভি, রিয়েল টাইম স্ট্রিমিং আলট্রা হাই-ডেফিনেশন (ইউএইচডি) এবং রিমোট মেডিকেল সেবা উপভোগ করতে পারবে। এক্ষেত্রে খুব সহজেই ত্রিমাত্রিক অনলাইন কনটেন্ট উপভোগ করা যাবে। এবারে স্যামসাং শুধু পণ্য নয়, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণেও কাজ করবে। এ পরিবর্তন এবং বিপ্লব মোবাইল শিল্পের জন্য বড় ধরনের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করবে। দূরত্বে থেকেও নেটওয়ার্কে আরও বেশি তথ্য বিনিময়ে গতিশীল প্রক্রিয়াকে এখন স্যামসাং বাস্তব করে তুলবে। এ মুহূর্তে তারযুক্ত নেটওয়ার্কের সম্প্রসারিত দেশ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে এখন ২ কোটি ফোরজি গ্রাহক আধুনিক মোবাইল নেটওয়ার্কের সুবিধা উপভোগ করছে। -এম. মিজানুর রহমান সোহেল

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button