স্বার্থপরতা সমাজে অশান্তি সৃষ্টির কারণ : কাবার ইমাম

Shuraimপবিত্র কাবার ইমাম শেখ সউদ আল-শুরাইম বলেছেন, স্বার্থপরতার কারণে সমাজে অনেক অশান্তির সৃষ্টি হয়। গত শুক্রবার জুমায়ার খুতবায় তিনি আরো বলেন, মুসলমানদের উচিত মহান আল্লাহকে ভয় করা, তার আনুগত্য করা এবং তার নিষিদ্ধ কাজ থেকে দুরে থাকা।
শুরাইম বলেন, স্বার্থপরতার মানে হচ্ছে শুধুমাত্র নিজেকে ভালবাসা এবং অন্যের অধিকারের তোয়াক্কা না করা। এর মানে অপর মুসলমানের স্বার্থের দিকে খেয়াল না রেখে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের মানসিকতা। বিশেষ করে স্বার্থপরদের নৈতিক অভিধানে সম্প্রদায় অথবা পরিবারের স্বার্থের বিষয়টি নেই। স্বার্থপরেরা শুধুমাত্র নিজের জীবন অর্থবহ করে তোলার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
মহান আল্লাহ ঈমানদার লোকদের জন্য যে পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন তা থেকে স্বার্থপররা বঞ্চিত হবেন।  এধরনের লোকদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেননা । মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, “ কোন লোকই ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ ঈমানদার হতে পারেন না যতক্ষণ না তিনি তার নিজের জন্য যা পছন্দ করেন অপর ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করেন” ।
তিনি বলেন, ‘আমি’ শব্দটি শুরু হয় গর্ব ও অহংকারের মধ্য দিয়ে যদি না সেটি নৈতিক এবং মানসিক ব্যাধি মুক্ত না হয়। তাদের কাছে কেউ যদি কিছু করার আহবান করেন তাহলে প্রথমেই তিনি জানতে চান এতে তার লাভ কি? এরা হচ্ছে ফেরাউন , নমরুদ ও শয়তানের উত্তরসূরী। শয়তান সৃষ্টিকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল,  আমি তাদের চেয়ে উত্তম কারণ তুমি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছ আর  তাদের মাটি থেকে ।
আল শুরাইম বলেন, কোন সমাজই ততক্ষণ পর্যন্ত সফল হতে পারে না যতক্ষণ তারা আমিত্বকে পরিত্যাগ করতে না পারে।
সমাজ হচ্ছে একটি বৃহৎ পরিবারের ন্যায়, যদি কোন পরিবারের সকল সদস্য ক্ষতিকর কাজ থেকে দূরে না থাকে এবং ভাল কাজে অংশগ্রহণ না করে তা হলে সে পরিবারে শান্তি আসতে পারে না তেমনি সমাজের একই অবস্থা।
সমাজে ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারেনা যতক্ষণ না  সমাজের লোকেরা মহান আল্লাহকে ভয় করে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ধর্ম ঔদ্ধত্ব, গর্ব এবং অহংকার  থেকে আমাদের বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে ।  এ ধরনের মানসিকতা জনস্বার্থের পরিবর্তে ব্যক্তি স্বার্থকে উস্কে দেয়।
ইবনে কাইয়্যূমের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “ আমি, আমার আছে এবং আমি মালিক” এ ধরনের শব্দ থেকে বিরত থাকুন, কারণ শয়তান, ফেরাউন এবং কারুন এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করত।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button