পঞ্চম ধাপের উপজেলা নির্বাচন সোমবার

চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শনিবার মধ্য রাত থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের যান্ত্রিক যান চলাচলের ওপরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকবে। তা অব্যাহত থাকবে নির্বাচনের পর ৬৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। কেউ আইন ভঙ্গ করলে কারাদ- ও আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে।
এ ছাড়া নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় শুক্রবার মধ্য রাত থেকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
নির্বাচনের আগে দুদিন, নির্বাচনের দিন এবং পরে ২ দিন মোট ৫ দিন সেনা সদস্যরা মাঠে থাকবেন।
চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে দেশের ৩৫ জেলার ৭৩ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। এসব উপজেলায় ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এসব উপজেলায় নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের সকল মালামাল পাঠানোও সম্পন্ন করেছে কমিশন।
নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ উপলক্ষে সোমবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন পঞ্চম ধাপের ঘোষিত তফসিলের ৭৪টি উপজেলা থেকে টাঙ্গাইল-৮ আসনে উপ-নির্বাচনের কারণে বাসাইল উপজেলা এবং হাইকোর্টের আদেশে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করে। এ ছাড়া তৃতীয় দফায় স্থগিত গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ এই দফার সঙ্গে হওয়ার কারণে সোমবার ৭৩টি উপজেলাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ নির্বাচনে প্রতি উপজেলায় এক প্লাটুন সেনাবাহিনী সদস্য এবং প্রতি উপজেলায় সেনাবাহিনীর একটি করে গাড়ি টহলে থাকবে। প্রতি প্লাটুনে ৩৪ জন সেনাসদস্য থাকবে বলে কমিশন সূত্র জানায়।
মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে।
এ ছাড়া প্রতিকেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (নারী ৪, পুরুষ ৬) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রাম পুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন।
৭৩টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৩৬৪, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪২০ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৭৯ জন।
এ সব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ৬৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৩৮০ এবং মহিলা ৭১ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৩ জন।
ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৭০৩টি, ভোটকক্ষ ৩৫ হাজার ৯৪১টি। প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৫ হাজার ৭০৩ জন। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৩৫ হাজার ৯৪১ জন। পোলিং অফিসার ৭১ হাজার ৮৮২ জন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫২৬ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
পঞ্চম ধাপের ৭৩ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো- দিনাজপুরের বিরল, পার্বতীপুর ও হাকিমপুর, নীলফামারীর ডোমার, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ, বগুড়ার সদর, রাজশাহীর পবা, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও শাহজাদপুর, পাবনার সদর ও বেড়া, চুয়াডাঙ্গার সদর, আলমডাঙ্গা ও সাতক্ষীরার সদর, দেবহাটা ও তালা, বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা, বরগুনা সদর ও আমতলী, পটুয়াখালীর দশমিনা ও কলাপাড়া, টাঙ্গাইলের সদর, ঘাটাইল, মির্জাপুর ও গোপালপুর, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, ত্রিশাল ও নান্দাইল, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও পাকুন্দিয়া, মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী, সিরাজদিখান ও লৌহজং, গাজীপুরের কালীগঞ্জ, নরসিংদীর সদর, মনোহরদী ও রায়পুরা, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর, সিলেটের বিয়ানিবাজার, মৌলভীবাজারের জুড়ী ও রাজনগর, হবিগঞ্জের বানিয়াচং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর, কুমিল্লার মুরাদনগর ও চান্দিনা, ফেনীর ছাগলনাইয়া, নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া, লক্ষ্মীপুরের সদর, রামগতি, রামগঞ্জ ও রায়পুর, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কঙবাজারের সদর, টেকনাফ ও উখিয়া, খাগড়াছড়ির দিঘিনালা, রাঙ্গামাটির সদর, লংগদু, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি এবং গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button