নিজামীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি

Nizamiমানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক এবং বিচারিক প্যানেলের দুই সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
আইন অনুসারে নিজামীর আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়সহ লাল সালুতে মোড়ানো এ পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শহীদুল আলম ঝিনুক।
এ পরোয়ানার ভিত্তিতে ফাঁসি কার্যকরে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগ থেকে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে পূর্ণাঙ্গ রায়টি। রায়ের অনুলিপিসহ অন্য কাগজপত্র পাঠান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। সেগুলো নিয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছে দেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল অরুনাভ চক্রবর্তী।
বিকালে এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ আপিল মামলার রায় প্রদানকারী চার বিচারপতি রায়ে স্বাক্ষরের পর তা প্রকাশিত হয় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে। পূর্ণাঙ্গ রায়টি লিখেছেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করতে ১৫ দিনের সময় পাবেন আসামিপক্ষ। বুধবার থেকে এ ১৫ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে। এ সময়ের মধ্যে রিভিউ আবেদন না করলে আইন অনুসারে দণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, রিভিউ হলে রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। রিভিউ খারিজ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া ফের শুরু হবে। সেক্ষেত্রে সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন আসামি। প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে কিংবা আবেদন করার পর নাকচ হয়ে গেলে চূড়ান্তভাবে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button