মার্কিন সাংবাদিক হত্যা : ভবিষ্যৎ যুদ্ধের অজুহাত সৃষ্টির সাজানো ভিডিও?

ISসংবাদ সংস্থা আল-জাজিরার একটি রিপোর্টে দাবি করা হয় মার্কিন সংবাদিক জেম্বা ফলি ও স্টিভেন সটলফয়ের শিরচ্ছেদের দৃশ্যগুলো সাজানো বলে মনে হয়েছে। রিপোর্টে আরো দাবি করা হয়, সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের অজুহাত হিসেবে ঐ দৃশ্যগুলোকে পশ্চিমারা ব্যবহার করতে চায় বলে মনে হচ্ছে। আরবি ওয়েবসাইট আল-আরাবিয়া ডট নেটে দাবি করা হয়, শিরচ্ছেদের পূর্ব-মুহূর্তের দৃশ্য ফলি কে দেখে মনে হয় কোনো বিজয়ী নায়কের ভূমিকায় সে যেন অভিনয় করছে।
অবধারিত মৃত্যুর ভয়ে তাকে ভীত দেখা যাচ্ছে না। বরং হাত-পা নেড়ে নাটকীয় ভঙ্গিতে তাকে দীর্ঘ বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে। হত্যাকারীর পরিচয় নিয়েও রিপোর্টে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। বলা হয় দৃশ্যটিতে ঘাতক হিসেবে যে ব্যক্তিটি কে উপস্থাপিত করা হয়। তার ভাবভঙ্গি দেখে মনে হয় সে যেন হলিউডের একজন অভিনেতা। সংবাদ সংস্থার আরো দাবি শিরচ্ছেদ দৃশ্যটির ধীরগতি প্রদর্শনীতে স্পষ্ট ধরা পড়ে ফলির গলায় পর পর ছ’বার ছুরি চালানো হচ্ছে কিন্তু কোনো রক্ত বেরোতে দেখা যাচ্ছে না।
অভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা ঘটানো হয় সটলফয়ের কথিত হত্যাকাণ্ডেও দাবি করা হয় রিপোর্টে। বলা হয় ফলির মতো সটলফের চেহারাতেও অত্যাসন্ন মৃত্যুর কোনো আভাস অনুভূতি লক্ষ্য করা যায়নি। রিপোর্টে গুরুতর প্রশ্ন তোলা হয় ফলি অপহৃত হয়েছিল ২০১২ সালে। তখন বলা হয়নি যে, আইসিস-এর হাতে সে বন্দী হয়েছে। এতোদিন পরে আইসিস-এর কবজায় সে এসে যায় কিভাবে? রিপোর্টে আরো সন্দেহ প্রকাশ করা হয় শিরচ্ছেদ দৃশ্যে উপস্থাপিত ব্যক্তির চেহারার সঙ্গে ফলির চেহারার কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
আন্দোলন কর্মীদের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয় রিপোর্টে। উদ্ধৃত বক্তব্য অনুযায়ী- ফলি মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের পক্ষে পূর্ববর্তীতে কর্তব্যরত ছিলেন এবং সম্ভবত মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। এর অর্থ হচ্ছে- বানোয়াট শিরচ্ছেদ দৃশ্য তৈরির কাজে তার যোগসাজশ ছিল। ভবিষ্যতে সিরিয়ায় হামলা চালানোর অজুহাত হিসেবে সাজানো শিরচ্ছেদ দৃশ্যটিকে ওয়াশিংটন কাজে লাগাতে পারে- বলে আল জাজিরা আশঙ্কা ব্যক্ত করে। ২০০৩ সালে ইরাক আগ্রাসনকালে জর্জ বুশ বাহবা জানিয়েছিলেন- সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ভাণ্ডার রয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button