রোহিঙ্গা সংকটে হিউম্যান রাইটস এর ভূমিকা

আফতাব চৌধুরী
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি মানবাধিকার সংস্থা। মায়ানমারে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিধনে সে দেশের সরকারের পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণে ক্ষুব্ধ। সরকারের নীরব এবং পক্ষপাতিত্ব মূলক ভূমিকায় দেশের শান্তিপ্রিয় নিরপরাধ ১০ লক্ষের উপর রোহিঙ্গা মুসলমানদের জীবন সম্পদ হুমকির মুখে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর প্রশ্ন : দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসরত একটি বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতি সরকারের এ বিদ্বেষমূলক আচরণের কি কারণ থাকতে পারে? হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরাকানের জাতিগত সংঘাতে লিপ্ত উভয় পক্ষের শতাধিক লোকের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই সংঘাতে বহু লোক নিহত হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উপসংহারে উল্লেখ করেছে যে, মায়ানমার সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমোদন ও মৌনতার সুযোগ নিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে। জাতিগত নির্মূলকরণের এই প্রচারণায় মায়ানমারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাস্তচ্যুত হয়েছে। তারা এখন খোলা আকাশের নীচে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে যে, দেশের ১৩টি এলাকার মধ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমানদের ৪,৮৬২ টি অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। বলা বাহুল্য, এখানকার সব অধিবাসীই মুসলমান। ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর ইয়াহ থেকেই গ্রামে সংঘটিত ঐ সহিংসতা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ও নারকীয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছে কীভাবে নিরাপত্তা বাহিনী ক্রোধান্ধ জনগোষ্ঠীকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর লেলিয়ে দেয়। রোহিঙ্গাদের ছিল আদিমতম প্রতিরক্ষামূলক কিছু অস্ত্রশস্ত্র। সেই অস্ত্র তাদের কাছ থেকে কেড় নিতে নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা বিরোধীদের কীভাবে সাহায্য করেছে সে কথাও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। ওই আক্রমণে অন্তত ৭০ জন রোহিঙ্গার জীবনাবসান ঘটে, যার মধ্যে ২৮ জন ছিল শিশু। আর ২৮ জনের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৫ বছরেরও কম। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ঐ আক্রমণের জন্য স্থানীয় বৌদ্ধ ভিক্ষ এবং দুই বছর বয়সী রাখাইন ন্যাশনালিস্ট ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে অভিযুক্ত করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল বছর জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত উগ্রপন্থী জাতীয়তাবাদী গ্রুপ প্রচারণা যেমন চালায়, তেমনই বিবৃতিও প্রচার করে। এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিল রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ব্যাংকক অফিসের কর্মকর্তা ম্যাথু স্মিথ বলেছেন, জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পরিচালিত সহিংসতার সময় রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযান তুঙ্গে ওঠে। আরাকান রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের সমূলে উৎখাত করার জন্য এ সময় জনগণকে সংগঠিত করা হয়। ভিক্ষু সমিতিসমূহ, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে রোহিঙ্গা নির্মূলে বিবৃতি দেওয়া হয়। ফলে অস্থিরতা ও সহিংসতা দুই-ই ব্যাপকভাবে বিস্তার ও বৃদ্ধি পায়। উল্লেখ্য, এটা ছিল রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত দ্বিতীয় দফার দুর্বার আক্রমণ। বিষ্ময়কর ব্যাপার, কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতি সামাল দিতে কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি বরং উস্কানী দিয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা কিংবা আরেক দফার সহিংসতা বন্ধে সরকার তার করণীয় সম্পর্কে ছিল নির্বিকার। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ম্যাথু স্মিথ আরও উল্লেখ করেন যে, এই সংকটকালে সরকারের ভূমিকা যেমন ছিল একপেশে, তেমনি হাজার হাজার রোহিঙ্গা এ সময় প্রয়োজনীয় মানবিক সহযোগিতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরও উল্লেখ করে যে, ঐ সহিংসতায় স্থানীয় বৌদ্ধ আরাকানদের একটি অংশও বাস্ত্তচ্যুত হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বৈষম্যমূলক বার্মার নাগরিকত্ব আইনের কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করে। এদিকে পালাতে ব্যর্থ রোহিঙ্গারা নিরুপায় হয়ে মায়ানমার সরকারের মর্জিমাফিক দিন কাটাতে যেমন বাধ্য হচ্ছে, তেমনি এই বলে সরকারের দয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে আছে যে, একদিন তাদের দাবি হয়ত পূরণ হবে। তাদের কারো কারো মনে এই প্রত্যয় যে, সরকার তাদের জন্য বাড়ি বানিয়ে দিবে। কেন না, সরকারি তরফ থেকে এমন প্রতিশ্রুতি একাধিকবার দেওয়াও হয়েছিল। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির আলান স্টার্টহার্ন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রশ্নে মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার কিছু অংশে বৌদ্ধ বিশ্বাস শিক্ষাদানের পাশাপাশি অহিংস আচরণের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি হতবুদ্ধি করে দেবার মতো। কেন না, উল্লেখিত দুই দেশের কারো কাছেই রোহিঙ্গাদের মতো একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ইসলামি জঙ্গি হিসেবে বিপজ্জনক বিবেচিত হতে পারে না। মায়ানমারে ৯৬৯ নামের গ্রুপের নেতা হলেন আশিন উইরাথু নামের এক ভিক্ষু। ধর্মে ধর্মে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে ২০০৩ সালে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। ২০১২ সালে তিনি ছাড়া পান। জানা গিয়েছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর মিশনে তিনি এখনও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে, বৌদ্ধ ধর্মের অহিংস নীতির সাথে ঘৃণা ছড়ানো বিষয়টি কি মেলানো যায় ? জানা গেছে, মুসলমান রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা বিধান, দেশের গণতন্ত্রে উত্তরণে সংস্কার সাধন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র মায়ানমারে আরও এক বছরের জন্য অবরোধ আরোপ করেছে। ওবামা প্রশাসন মায়ানমারের প্রেসিডেন্টের ওয়াশিংটন সফর উপলক্ষে ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে ঔদার্য দেখিয়েছিল। উল্লেখ্য, প্রাক্তন সামরিক শাসনামলে ভিসার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কড়াকড়ি আরোপ করেছিল। আরও উল্লেখ্য, মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিয়েন সেইনের সফর ছিল ১৯৬৬ সালের পর কোনো মায়ানমার সরকার প্রধানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের সাথে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে অব্যাহত সহিংসতার বিষয়টি ওবামা ও মায়ানমার প্রেসেডিন্টের বৈঠককালে আলোচনায় গুরুত্ব পায়। সম্প্রতি জাপানের কোনো প্রধানমন্ত্রীর মায়ানমার সফরের ঘটনা গত ৩৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঘটেছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে মায়ানমারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যেই জাপানি প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। এক্ষেত্রে জাপান এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে তা হল, মায়ানমারের নেতাদের সে-দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য পরামর্শ প্রদান। জাপান, মায়ানমারকে এও বুঝাতে পারে যে, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর দেশে মানবাধিকারের উন্নয়ন কতটা অপরিহার্য। মায়ানমারকে এ মুহুর্তে অবশ্যই গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গণতন্ত্রকে সংহত করা ও গণতন্ত্রের মূল নীতিসমূহ বাস্তবায়নে এ উদ্যোগ অবশ্যই সহায়ক হবে। আর মায়ানমার তো এ লক্ষ্যে অনেক দূর এগিয়েছেও। তবে মুসলমান রোহিঙ্গাদের জন্মহার হ্রাস করতে আইন করার চেষ্টা সংকট নিরসনে কোনো কাজে আসবে না। আং সান সুকিসহ রাজনৈতিক বন্দিদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিয়ে একটা রমরমা অবস্থার মধ্যে রয়েছে মায়ানমার সরকার। শ্রমিক সংঘ ও মিডিয়ার ওপর আরোপিত কঠোর আইনও মায়ানমার তুলে নিয়েছে। কিন্তু এসব সাফল্যই ধূসর হয়ে যাবে যদি ভবিষ্যতে সত্যিকার অর্থে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না যায়। এদিকে মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে আসছে মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানরা। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বার্মায় বসবাসরত ১৩৫টি স্বীকৃতি জাতিগত গোষ্ঠীকে মায়ানমার সরকার নাগরিক অধিকার দিলেও রোহিঙ্গারা তা থেকে বঞ্চিত। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভাষ্য হল, আরাকানি বৌদ্ধদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয় না। তারা মাঠে চাষ করতে পারে, চা স্টলে আড্ডা জমাতে পারে, ধর্মশালায় যেতে কোন বাধা নেই। কিন্তু এর ঠিক বিপরীত আচরণ পেয়ে থাকে রোহিঙ্গা মুসলমানরা। রোহিঙ্গা মুসলমানদের যা নিত্যসঙ্গী তা হল, নিরাপত্তা বাহিনীর অবহেলা ও আক্রমণ নীরবে সহ্য করা, সরকার নির্ধারিত বিচ্ছিন্ন করে রাখার নীতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করা এবং সরকারি ক্যাম্পে অবরুদ্ধ হয়ে থাকা। বিভিন্ন টিভি মিডিয়ায় এ সমস্ত রিপোর্টে অর্গানাইজেশন অব দ্য ইসলামিক কনফারেন্স বা ওআইসি সচিবালয় উদ্বিগ্ন। ওআইসি এ ব্যাপারে একটি বিশেষ সেশন আহবানের কথা ভাবছে। উদ্বেগাকুল ওআইসি বিষয়টির একটি সুষ্ঠু সমাধানে এখন তৎপর। রোহিঙ্গাদের প্রতি সহিংস ঘটনাবলির রিপোর্ট প্রকাশের পর মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক সুবিধাবাদী ও ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই মহলটি বিভিন্ন বিশ্বাস ও মতাবলম্বীদের মধ্যে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে চলেছে। যদিও মায়ানমার সরকার মনে করে, রোহিঙ্গাদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ বস্ত্তনিষ্ঠ নয় এবং ঐসব রিপোর্ট একপেশে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি মায়ানমারের উপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মায়ানমার গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালুর লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা এই অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা অবশ্য বহাল রয়েছে। এদিকে ইইউ-র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক একজন পদস্থ কর্মকর্তা ক্যাথেরিন এ্যাশটন বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি নিরাপত্তা বাহিনী গোত্রগত সহিংসতা নিরসনের মতো দুরূহ কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন করবে। ব্যাংককে সুশীল সাজ মায়ানমারের ঘনাপঞ্জি মনিটর করে চলেছে। ইইউ-র সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে তারা দ্বিধান্বিত। তাদের ভাষ্য, মায়ানমারের বাস্তবতা ভিন্নতর। সুশীল সমাজের ভাষ্য হল, হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে মানবিক সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রিত। এমনকি, রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িতে পর্যন্ত ফিরতে পারছে না। সুশীল সমাজের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের অবরুদ্ধ জীবন এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা না-পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। একথা অনস্বীকার্য, সকলেই মনে করেন যে, নাগরিকত্ব নিয়ে সংকটই সমস্যার মূল কারন। অসম আইনের বলি হয়ে এই রোহিঙ্গারা ১৯৮২ সাল থেকে নাগরিকত্ব পাচ্ছে না। যদিও বহু রোহিঙ্গা পরিবার যুগ যুগ ধরে মায়ানমারে বসবাস করে আসছে। এদিকে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান শরণার্থী রাখাইন রাজ্যে বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে। মায়ানমার সরকার তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে তারা আশাবাদী। কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা হল, নাগরিকত্ব লাভের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের আশা একদিন হতাশায়ই পরিণত হবে। কেননা সুড়ঙ্গের অপর প্রান্তে কোন আলোই দেখা যাচ্ছে না। এই দুর্ভাগ্যজনক প্রেক্ষাপটে বহু বাস্ত্তচ্যুত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সটকে পড়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নে নৌকাযোগে থাইল্যন্ড, মালয়েশিয়া অথবা অন্য দেশে যাওয়ার পায়তারা করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। অনেকে আবার ছেলেমেয়ে নিয়ে পানিতে ডুবে মারাও যাচ্ছে। কিন্তু জনভারে জর্জরিত এসব দেশ কি তাদের দেশে লক্ষ লক্ষ রোহীঙ্গাকে আশ্রয় দিতে পারবে? জাতিসংঘের সেক্রেটারী জেনারেল বানকি মুন সেদেশের সরকারকে রোহিঙ্গাদের সেদেশের নাগরিক হিসাবে মেনে নিয়ে তাদের পুর্নবাসনের আহবান জানিয়েছেন। মানবিক কারণে বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য সফল শান্তিপ্রিয় নাগরিক ও দেশের উচিত মায়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করা আর তা না হলে বিশ্বের দেশে দেশে এভাবে সংখ্যালঘুরা মার খেতেই থাকবে।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button