বিশ্ব আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর বক্তব্য
জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গত শুক্রবার ডজন খানেক দেশ ও ৩টি সংস্থার শুনানী গ্রহন করে, যারা ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে ইসরাইলের দখলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। কাতার, ওমান, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরাও শুনানীর চতুর্থ দিনে তাদের বক্তব্য পেশ করবেন বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। বিশ্ব আদালত হিসেবে পরিচিত এই আদালতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও সৌদী আরবের বক্তারা ইতোমধ্যে তাদের বক্তব্যে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে ইসরাইলী দখলদারিত্বের অবসানের দাবি জানিয়েছেন। নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত সৌদী রাষ্ট্রদূত জিয়াদ আল আতিয়াহ বলেছেন, ইসরাইলের অব্যাহত কর্মকান্ড আইনত: অন্যায়। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক রাষ্ট্র তাদের যুক্তিতর্ক পেশ করবেন।
নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত মুতলাক আল কাহত বলেন, ইসরাইল গাজার জনগনের বিরুদ্ধে গনহত্যা চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গাজার ওপর যখন সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ, তখন পশ্চিম তীরের পরিস্থিতির ক্রমশ: অবনতি ঘটছে। ইসরাইলী হামলায় পশ্চিম তীরে বেসামরিক জনগনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক, তারাই ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তু, শিশুরা প্রায়ই তাদের শিকারে পরিনত হচ্ছে।
পাকিস্তানের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ ইরফান বলেন, পাকিস্তান বিশ্বাস করে যে, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অবশ্যই শান্তির মূল ভিত্তি হতে হবে। একটি দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরাইল মৌলিক দায়দায়িত্ব বিবর্জিত। নেদারল্যান্ডে ওমানের রাষ্ট্রদূত শেখ ড: আব্দুল্লাহ বিন সলিম বিন হামাদ আল হার্দি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনী জনগনকে তাদের নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র লাভের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইসরাইল কর্তৃক অবৈধভাবে ফিলিস্তিনী ভূখন্ড সংযোজন প্রতিহত করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জর্ডানের প্রতিনিধি বলেন, ইসরাইলী দখলদারিত্ব অবৈধ ও অমানবিক এবং অবশ্যই এর অবসান প্রয়োজন।