মাস্টারকার্ডকে ৩১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা

মার্কেট কারসাজির অভিযোগে মাস্টারকার্ডসহ ৫টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। রেগুলেটররা মাস্টারকার্ডকে ৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান যোগসাজশের মাধ্যমে প্রি-পেইড কার্ডের জন্য একে অপরকে আক্রমন বা প্রতিযোগিতা না করতে চুক্তিবদ্ধ হয়। কার্ডগুলো স্থানীয় কর্তৃপক্ষসমূহ কর্তৃক গৃহহীন, গৃহাভ্যন্তরে সহিংসতার শিকার এবং আশ্রয় প্রার্থীদের মতো সমাজের অরক্ষিত সদস্যদের অর্থ পরিশোধে ব্যবহৃত হয়। পেমেন্ট সিস্টেমস রেগুলেটর (পিএসআর) মাস্টারকার্ড, অলপে, এডভান্সড পেমেন্ট সলিউশন্স (এপিএস), প্রি-পেইড ফাইন্যান্সিয়েল সার্ভিসেজ (পিএফএস) এবং সুলিয়নকে জরিমানা করেছে।
প্রি-পেইড কার্ড কাস্টমারদের ব্যাপারে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার আইন লংঘন করে পরস্পর প্রতিযোগিতা না করার কারসাজিমূলক চুক্তির জন্য এই জরিমানা করা হয়েছে।
২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হওয়া পিএসআর- এর তদন্তের সময়কালে সকল পক্ষ স্বীকার করে যে, তারা আইন ভঙ্গ করেছে। মাস্টারকার্ডকে সবচেয়ে বেশী জরিমানা করা হয়েছে, যার পরিমান ৩১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। পিএফএস’কে ৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৬ পাউন্ড, অলপে ২৮ হাজার ৫৫৫ পাউন্ড, এপিএস ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৯ পাউন্ড এবং সুলিয়ন’কে ৫৭২ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে।
পেমেন্ট সিস্টেমস্ রেগুলেটর- এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস হেমসলি বলেন, এই তদন্ত এবং তাৎপর্যপূর্ন জরিমানা এই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, কারসাজিমূলক আচরনের ব্যাপারে পিএসআর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করে।
তিনি বলেন, পেমেন্ট মার্কেটে কার্যকর প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরনে আমরা হস্তক্ষেপ এবং কঠোর আইন প্রয়োগ করবো। এই ঘটনাটি বিশেষভাবে গুরুতর কারন অবৈধ কারসাজিমূলক আচরনের অর্থ হচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষসমূহের জন্য কম প্রতিযোগিতা ও কম বিকল্প। এর মানে হচ্ছে, তারা তুলনামূলক সস্তা কিংবা ভালোমানের পন্য থেকে বঞ্চিত হতে পারে, যা সমাজের সবচেয়ে অরক্ষিতদের অনেকে ব্যবহার করে থাকে।
গত মার্চ মাসে প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, পিএসআর বলেছিলো, শেয়ার মার্কেটে সমন্বয় সাধনের জন্য তারা কোম্পানীগুলোকে জরিমানা করবে। মাস্টারকার্ড বলেছে, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। সাবেক দু’জন কর্মচারীর কার্যকলাপের দরুন এ মুহূর্তে আমাদের প্রত্যাশিত মান অর্জিত হয়নি।
পিএসআর অনুসারে, মাস্টারকার্ড ন্যাশনাল প্রিপেইড কার্ডস্ নেটওয়ার্ক- এর মূল প্রতিষ্ঠাতা, যে গ্রুপটি কাউন্সিল ও অন্যান্য পাবলিক খাতের সংস্থাগুলোকে একত্রিত করে। প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের পাবলিক সেক্টরের সেই গ্রাহকদের টার্গেট না করতে চুক্তিবদ্ধ হয়, যারা একটি পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ কিংবা প্রি-পেইড কার্ড সার্ভিস পাচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button