ভোট দেয়ার নিয়ম
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র বাকি এক দিন। কিন্তু অনেকে ভোট দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। বিশেষ করে যারা তরুণ ভোটার তাদের ভোটের নিয়ম জানা জরুরি। আসুন জেনে নেই ভোট দেয়ার নিয়ম।
ভোট স্লিপ আবশ্যক
ভোটকেন্দ্রে আপনার সঙ্গে ভোট স্লিপ অবশ্যই থাকতে হবে৷ ওয়ার্ড কাউন্সিল থেকে আপনার বাড়িতে সেই স্লিপ পৌঁছে গেছে ইতিমধ্যে৷ অনেক এলাকায় প্রার্থীরা স্ব-উদ্যোগে তা সরবরাহ করেছেন৷ যদি না পেয়ে থাকেন, তবে নিজ এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলে গিয়ে খোঁজ করুন৷ অথবা ইউনিয়ন পরিষদ ও চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আছে আপনার ভোট স্লিপ৷ সংগ্রহ করে নিন৷
ভোট দিতে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে না
জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ভোট দেওয়া যাবে না এ ধারণা ঠিক নয়।তাই ভোটার আইডি বা স্মার্ট কার্ড হারিয়ে গেছে বলে ভোট দিতে যাবেন না, এমন ভাবনা থেকে বের হয়ে আসুন৷ তবে ইভিএম এ ভোট দিতে গেলে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে যাওয়া উত্তম নতুবা আঙুলের ছাপ দিয়ে আপনাকে পরিচয় নিশ্চিত করে ভোট দিতে হবে৷
যেসব সঙ্গে নেয়া নিষিদ্ধ
ভোটকেন্দ্রে ভোট স্লিপ ছাড়া আর কিছুই নেওয়া যাবে না৷ কোনো ধরনের দাহ্য পদার্থ, ম্যাচ, লাইটার, ধারালো বস্তু এমন সব কিছুই নিষিদ্ধ৷ এছাড়া মোবাইল ফোনও নিতে পারবেন না৷ ফোন যদি নিতেই হয়, তবে সেটি বন্ধ রাখতে হবে৷
সেলফি
ভোটকেন্দ্রে ঢোকার পর আপনি আপনার মোবাইল চালু রাখতে পারবেন না৷ কেন্দ্রের ভেতরের কোনো ছবি বা ব্যলটের ছবি অথবা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে চেক-ইন দেওয়া একদমই নিষেধ৷
পোশাক
ভোট দিতে আপনি যে-কোনো পোশাক পরে যেতে পারেন৷ তবে যদি আপনি নেকাব পরে থাকেন, তবে পোলিং এজেন্টের অনুরোধে একবারের জন্য সেটি খুলে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে হতে পারে৷
ব্যালট পেপার ভাঁজ
ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর মার্কায় সিল দেওয়ার পর এমনভাবে ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ফেলতে হবে যাতে সিলের কালি অন্য মার্কায় না ছড়ায়৷ নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় প্রতিটি টিভি চ্যানেলে ব্যালট ভাঁজ পদ্ধতি দেখিয়ে পরমর্শমূলক বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে৷
সহায়তাকারীর ভোটার আইডি লাগবে
কোনো ভোটার বৃদ্ধ, অসুস্থ বা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলে সঙ্গে একজন সহায়তাকারী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন৷ সেক্ষেত্রে সহায়তাকারীর সঙ্গে ভোটার আইডি থাকতে হবে৷