লন্ডন প্রবাসীর ৭০ লাখ টাকার এফডিআর আত্মসাৎ

city-bankবিদেশে উপার্জিত অর্থ দেশেই রাখবেন ভেবে ১০ বছর আগে ৭০ লাখ টাকা এফডিআর করেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ আখলাক মিয়া। কিন্তু তিন বছর পর জানতে পারেন পুরো টাকায় মেরে দিয়েছেন ব্যাংক ম্যানেজার। এ ঘটনা দ্য সিটি ব্যাংকের সিলেট জিন্দাবাজার শাখার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ফেরতও পান বেশ কিছু টাকা। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ-ই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধেই করে বসে প্রতারণার মামলা। আর এসব ঝামেলা মেটাতে গত সাত বছরে ১৬ বারেরও বেশি দেশে আসতে হয়েছে তাকে। বিশেজ্ঞরা বলছেন, এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না হলে আস্থা হারাবে প্রবাসীরা। যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ আখলাক মিয়া। চেয়েছিলেন বিদেশ বিভুঁইয়ে কষ্টের রোজগারের নিরাপদ সঞ্চয় দেশেই করবেন। সেজন্য ২০০৮ সালে বেসরকারি দি সিটি ব্যাংকের জিন্দাবাজার শাখায় ৭০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রিসিট-এফডিআর করেন।
উল্টো গত ১১ বছর ধরে ব্যাংকে রাখা এই টাকাই তার দুশ্চিন্তার কারণে হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের সঞ্চয় তো গেছেই, পাননি মুনাফাও। আর এর মূল হোতা ব্যাংকেরই তৎকালিন শাখা ব্যবস্থাপক মুজিবুর রহমান। ভুয়া সাক্ষর দেখিয়ে এফডিয়ারের টাকা তুলে নেন, ওই কর্মকর্তা।
আর তা জানতে পারেন সঞ্চয় করার তিন বছর পর অর্থাৎ ২০১১ সালে। ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাইলে জানতে পারেন টাকা তুলে নিয়েছেন আগেই। তাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হিসাবটি। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে উপায়অন্ত না দেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এরপর ফেরত দেওয়া হয় ৫৭ লাখ টাকা, তাও আবার ৮ কিস্তিতে। এর পরই আরেক দফা শুরু হয় ব্যাংকের গড়িমসি শুরু।
বাকি টাকা ফেরতের তাগাদা দিলে সে সময়ের ম্যানেজারসহ আখলাক মিয়ার নামে উল্টা মামলা দায়ের করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সঞ্চয় ফেরত ও মামলায় হাজিরা দিতে গেল ৬ বছরে ১৬ বারেরও বেশি সিলেট থেকে লন্ডন যাতায়াত করতে হয়েছে আখলাক মিয়াকে। অবশেষে, চলতি বছরে অভিযুক্ত গ্রাহককে অব্যাহতি দেয় আদালত। ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয় এখন উচ্চআদালতে বিচারাধীন- অজুহাতে কোনো ধরণের মন্তব্য করতে চাননি ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button