তারেক রহমান তার যথাযোগ্য আসনে অধিষ্ঠিত হবে : সিরাজুর রহমান
বিবিসি বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান, বিশিষ্ট কলামিষ্ট সিরাজুর রহমান বলেছেন, তারেক রহমান তার পিতা জিয়াউর রহমান রহমান ও মা বেগম খালেদা জিয়ার চিন্তা চেতনা খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।
সনাতনী পন্থার রাজনীতি বেশীদিন চলতে পারে না এটা বুঝে তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তারেক রহমানের প্রতিভার পরিচয় মানুষ আগেই পেয়েছে। তিনি রাজনীতির অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন । রাজনীতি নিয়ে তিনি গবেষণাও করেছেন। আর জয় শৈশবে বাবা মার সঙ্গে জার্মানীতে, পরে নয়াদিল্লি এবং সর্বশেষ আমেরিকার গিয়ে মার্কিন মহিলাকে বিয়ে করে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, নেতৃত্বের কিছুই যিনি দেখেননি তার পক্ষে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা কোথা থেকে আসবে। তার সে যোগ্যতা নেই। এদিক দিয়ে জয় তারেক রহমানের ধারে কাছেও আসতে পারবে না। তারেক রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ ভালোবাসে। তারেক রহমান তার যথাযোগ্য আসনে অধিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের মানুষ তার প্রতিক্ষায় আছে।
গত শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের মন্টিফিউরী সেন্টারে ইউনিভার্সিটি অব ল বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে-রাজনৈতিক সঙ্কট, জাতির প্রত্যাশা ও তারেক রহমান- শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি আখতার মাহমুদের সভাপতিত্বে ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ছাত্রদল সভাপতি পারভেজ মল্লিকের পরিচালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব ল’র বার এট ল অধ্যয়ন রত সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন রিমন।
সিরাজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সম্মন্ধে যে জয় কিছুই জানেন না তা বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে। বাংলাদেশে বসে তিনি ঘোষণা করলেন তার কাছে তথ্য আছে আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। কোন অসাধু ষড়যন্ত্র সম্মন্ধে তার জানা ছিল বলে তিনি এমন উক্তি করেছেন। এছাড়া জামায়াত পাকিস্তানী পার্টি ও আর কিছু অজ্ঞতাপ্রসূত কথাবার্তায় তার সম্মন্ধে মানুষের নেতিবাচক ধারণা জন্ম নেয়। সেমিনারে সিরাজুর রহমান আর বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও তারা যে কোনভাবে গদি আকড়ে থাকতে চাইবে। সে লক্ষ্যে তারা তাদের ভোট ব্যাংকের এলাকাগুলো সংখ্যালঘূ অফিসার দ্বারা প্রশাসনও পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগ করে রেখেছে। তাই তো ৭শ সিনিয়র ও অভিজ্ঞ অফিসারকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন বাংলাদেশের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হন ডেপুটি কমিশনাররা। তারা ভোট কারচুপির জন্য ৬৪ টি জেলার ৪২ টিতেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ডেপুটি কমিশনার নিয়োগ দিয়ে রেখেছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা যুক্তরাজ্য সফররত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া উপদেষ্টা, বিশিষ্ট কলামিষ্ট, যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক এডিটর শফিক রেহমান বলেন, ৫ মে সরকার শাপলা চত্বরে যে তান্ডব চালিয়েছে তা আমি নিজের চোখে দেখেছি। সরকারের এ বর্বরতা কালো রাতকেও হার মানায়। আমি সেদিন সিএনজি অটো রিক্সা নিয়ে ঘুরে ঘুরে সরকারি বাহিনীর তান্ডব দেখেছি। শাপলা চত্ত্বরে প্রকৃত হত্যাকান্ডের ভিডিও নিজেদের কাছে রয়েছে এবং সেগুলো সময় মতো প্রকাশ করা হবে জানান শফিক রেহমান। পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত এসব ভিডিও এখন প্রকাশ করলে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বে তাই এখন প্রকাশ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ বলেছে একজনও লোক মারা যায়নি, একজন বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা বলেছেন একটিও ফায়ার আর্মস ব্যবহার করা হয়নি। কি করে উনারা এসব কথা বলেন তা আমার বোধগম্য নয়। শাপলা চত্ত্বরের ঘটনার সে রাতে শফিক রেহমান নিজের বাসায় আটকে পড়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেদিন জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। হেফাজতের মতো আমিও সে রাতে খুব বিপদে ছিলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে শফিক রেহমান বলেন, বিএনপি ও বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, তাই সকলের উচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে আমরা ‘রুল অব ল’ দেখতে চাই। বাংলাদেশে এখন দানবীয় শাসন চলছে। লেখক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও আদিলুর রহমান খানের মতো মানবাধিকার কর্মী বন্দি হয়েছেন। তিনি এই দুজনসহ সকল বন্দিদের মুক্তি দাবি করেন। বিচার বিভাগের সমালোচনা করে শফিক রেহমান বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ একটি সাজানো বিচার বিভাগ। যে বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার ইচ্ছায় চলছে। তিনি শেখ হাসিনাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে যেখানে খুশী চলে যেতে বলেন। প্রয়োজনে বেলারুশে যাবারও পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টাস ইাউনিটির সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস খান, যুক্তরাজ্য বি এন পির সভাপতি সায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস যুক্তরাজ্য বি এন পির সাবেক সাধারন সম্পাদক এম এ মালিক, যুক্তরাজ্য বি এন পির সাবেক আর্ন্তজাতীক সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও সিরাজুর রহমানের স্ত্রী সোফিয়া রহমান, ইমিগ্রেশন এ্যাডভাইজার মিসেস কুমকুম আক্তার , ড: হারুনুর রশিদ, ব্যারিষ্টার এম এ সালাম,সাবেক ডাকসু সিনেট সদস্য শিক্ষাবীদ নসরুল্লা খান জুনায়েদ, ইউ কে বি এন পির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, ব্যরিষ্টার তমিজ উদ্দিন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আর্ন্তজাতীক বিষয়ক সম্পাদক শফিক রিবলু বাংলাদেশী টির্চ্স এসোসিয়েশন ইউ কে ইউ কের সাবেক সভাপতি এ এফ এম সামসুদ্দোহা, , ড: হারুনুর রশিদ, এসএম আলাউদ্দিন সভাপতি গ্রেটার বগুড়া এ্যসোসিয়েশন ইউ কে, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রাতষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, যুক্তরাজ্য বি এন পির যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিষ্টার আবু সায়েম, ব্যারিষ্টার সায়েম ইউ খন্দকার, ব্যারিষ্টার হামিদুল হক আফিন্দি লিটন, ব্যারিষ্টার ইকবাল হোসেন, প্রভাষক ্ফরিদ উদ্দিন ,রহিম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম মামুন, এড: সাইফুল মোল্লা, স্পেন বি এন পির সাধারন আব্দুল কাইয়ুম পংকি, আবু হেনা মস্তোফা কামাল, রাজিব আহমেদ খান, লেকচারার মো: আলিম রাজি। এম এ খালেদ পাভেল, মিহানুর রহমান, ইমাদ উদ্দিন রানা, মাহফুজ আলম, শাহ আহমদ নাছির, শহিদুল ইসলাম স্বপন, জুবাইর আহমদ, বাবর চৌধুরী প্রমুখ।
সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ল বাংলাদেশ সোসাইটির অন্যতম সংগঠক এ্যডভোকেট এ এআই সেলিম, এ্যডভোকেট এম জি জাকারিয়া, সাবেক ছাত্রনেতা আমির হামজা শাতিল, এ্যডভোকেট রাশিদুর রাহমান বাবু, সাংবাদিক টি এ রাসেল, মওলানা শামিম আহমেদ, সাংবাদিক সেলিম, সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।