বিশ্বব্যাপী ইসরাইলী পণ্য বর্জনে হালাল পন্যের ব্যবসা চাঙ্গা

গাজায় নির্বিচারে ইসরাইলী নারী ও শিশু হত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ। এর সাথে শুরু হয়েছে বিশ্বব্যাপী ইসরাইলী পন্য বর্জন। ইসরাইলী পন্য বর্জন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। ফলে লোকজন বিকল্প পন্য খুঁজছেন। এ অবস্থায় হালাল পন্যের বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে।
ওয়ার্ড হালাল সামিট কাউন্সিল -এর চেয়ারম্যান ও ডিসকভার ইভেন্টস এর প্রধান ইউনুস ইতে বলেছেন, গত ৪০ দিন ধরে গাজায় গণহত্যা চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ নিশ্চুপ থাকলেও বিশ্বের জনগন তাৎপর্যপূর্ণ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ইসরাইলী পন্য বর্জন শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই পরিস্থিতিতে হালাল অনুমোদনপ্রাপ্ত পন্যের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষভাবে, গত তিন সপ্তাহে হালাল পন্যের বিক্রি শতভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। হালাল খাদ্য থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সংশ্লিষ্ট পন্য, ওষুধ থেকে কাপড় পর্যন্ত বিভিন্ন হালাল পন্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউনুস ইতে বিশ্বব্যাপী ইসরাইলী পন্যের শক্তিশালী একচেটিয়া ব্যবসার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, প্রকৃতপক্ষে অনেক হালাল পন্য ইসরাইলী পন্যের চেয়ে উচ্চমানের। কিন্তু এসব ব্রান্ড এই একচেটিয়া ব্যবসা ভাঙ্গার চেষ্টায় হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী হালাল পন্য সামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
মি: ইতে জানান, বিশ্বে হালাল পন্যের বাজার ৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে এবং আগামী ৫ বছরের মধ্যে তা ১০ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, বিদেশে মেলার আয়োজন এবং এর সাথে ইসরাইলী পন্য বর্জনের ফলে হালাল পন্যের বাজার জমজমাট হয়ে ওঠেছে। মেলায় হালাল পন্য খোঁজা লোকজন ও হালাল পন্য নিয়ে গবেষনাকারী বিদেশী কোম্পানীগুলো ব্যাপক হারে দর্শনার্থী হিসেবে নাম নিবন্ধিত করছে। গত বছর হালাল পন্যের মেলায় ৪৪৬ টি স্থানীয় ও ৩৯ টি দেশের কোম্পানীসমূহ অংশগ্রহন করে। চলতি বছর ৫শ’টি স্থানীয় ও ৬০ টিরও বেশী বিদেশী কোম্পানী অংশ নেবে এই মেলায়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button