লন্ডনে বাড়ির নাটকীয় দরপতন

প্রোপার্টি ওয়েবসাইট জুপলা’র সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ক্রমবর্ধমান মর্গেজ রেইট ও জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট বাড়ি বিক্রয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলায় চলতি বছর লন্ডনে বাড়ির দরপতন ঘটেছে। সকল বারাতে বাড়ির দাম কমেছে আর ক্রয়ডনে প্রায় ৩ শতাংশ কমেছে। ক্রয়ডন ছাড়াও বড়ো ষধরনের দরপতন ঘটেছে হ্যারোতে।
হ্যারোতে ২.৯ শতাংশ এবং ওয়ালথাম ফরেস্টে ২.৪ শতাংশ দাম কমেছে বাড়ি ঘরের। মূল্যস্ফীতি এবং গত বছরের মিনি বাজেটে ফল আউটে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এর উর্ধ্বমুখী সুদের হার লন্ডনে বাড়ির মূল্যে একটি অস্বাভাবিক ধীর গতি এনে দিয়েছে।
জুপলা’র নির্বাহী পরিচালক রিচার্ড ডোন্নেল বলেন, আয়ের তুলনায় অতি উচ্চ চাহিদা ২০১৬ সালে লন্ডন হাউজিংকে অতি মূল্যায়িত করে। ব্রেক্সিট ও মহামারী লন্ডনে যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চাহিদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এভাবে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় পেছনে পড়ে যায় লন্ডন।
তিনি আরো বলেন, যখন লন্ডনে বাড়ির দরপতন ঘটছে তখন তা আগেরকার সময়ের মতো দ্রুতগতিতে ঘটেনি, এটা তখন অর্থের ভালো মূল্যমান বয়ে আনতে শুরু করে।
দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাড়ির মূল্য যুক্তরাজ্যের চারটি অঞ্চলে হ্রাস পেয়েছে। আর এটা ২০০৯ সালের পর থেকে চাহিদার সবচেয়ে নাটকীয় ধীরগতি।
২০২৩ সালে এর আগের বছরের তুলনায় ১০ লাখ বাড়ি কম বিক্রি হয়েছে।প্রোপার্টি ওয়েবসাইটের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, বাড়ির দাম ২০২৪ সালে ২ শতাংশ হারে হ্রাস পেতে থাকবে আর মর্গেজ হ্রাস পাবে ৪.৫ শতাংশ।
ডোন্নেল বলেন, লন্ডনে বাড়ির মূল্য যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ থাকবে। ২০২৪ সালে বাড়ির মূল্য আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে সামান্য নিম্নগামী হতে পারে। জুপলা অনুসারে, ফার্স্ট টাইম বায়ার অর্থাৎ প্রথম বারের মতো বাড়ির ক্রেতারা ২০২৩ সালে সর্ববৃহৎ ক্রেতা গ্রুপ। তাদের কাছে হাউজিংয়ের ৩৩ শতাংশই বিক্রি হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button