ব্রুক হাউস অভিবাসী অপসারণ কেন্দ্রে সহিংস আচরনের অভিযোগ
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘ব্রুক হাউস ইনকোয়ারি রিপোর্ট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের ব্রুক হাউস অভিবাসী অপসারন কেন্দ্রে আটক লোকজনের ওপর দৈহিক ও মৌখিক অসদাচরনের প্রমান পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বিষাক্ত বা ক্ষতিকর আচরন এবং নির্যাতন ও অমানবিক আচরন সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লংঘনের আলামত পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। ৭১১ পৃষ্ঠার এই তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে তিন বছরেরও বেশী সময়ের অনুসন্ধানের পর। তদন্তটি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের নির্দেশে শুরু হয়েছিলো। গেটউইক এয়ারপোর্টের নিকটে অবস্থিত ব্রুক হাউস ইমিগ্রেশন অপসারন কেন্দ্রে অরক্ষিত আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ফুটেজ প্রকাশের পর প্রীতি প্যাটেল এই অনুসন্ধান পরিচালনার নির্দেশ দেন। ফুটেজটিতে ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে আগষ্ট পর্যন্ত ৫ মাস সময়ের ঘটনা ওঠে এসেছে।
তদন্ত বা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ১৯ টি বিষয় ওঠে এসেছে যেগুলোর মধ্যে আপত্তিকার কার্য কিংবা দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমান পেয়েছেন তদন্ত কমিটির চেয়ারপারসন কেইট ইভস, যেগুলো ইউরোপীয় কনভেনশনের ৩ নং আর্টিক্যালের আওতাধীন নিপীড়নমূলক আচরনের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার মতো।
এই আর্টিক্যালে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি নির্যাতন কিংবা অমানবিক অথবা অবমাননাকর আচরন কিংবা শাস্তির শিকার হবেন না। সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা হচ্ছে চরম দুর্ভোগে থাকা একজন আটককৃত ব্যক্তির ঘাড়ে চাপ প্রয়োগের কাজে তাকে জড়িত করা। অন্যান্য আপত্তিকর বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে একটি অন্তর্নিহিতভাবে বিপজ্জনক বিরত রাখার কৌশলের উপর্যুপরি প্রয়োগ, বসার সময় পেছন দিক থেকে হাতে হাতকড়া লাগিয়ে রাখা। এধরনের একটি ঘটনায় ২০১০ সালে একজন আটককৃত অ্যাঙ্গোলীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিলো বলে মনে করা হয়। এছাড়া এধরনের নিপীড়নমূলক আচরনের মধ্যে রয়েছে নগ্ন বা অর্ধনগ্ন থাকাবস্থায় পুরুষদের চলতে বাধ্য করা। এছাড়া হোম অফিসের কন্ট্রাক্টর জিফোরএস এর মধ্যে বিদ্বেষমূলক আচরনেরও বিষয়টিও প্রকাশ পেয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।