স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় সেনা নিয়োগ

ভয়াবহভাবে স্বাস্থ্যকর্মী সংকটে ভুগছে এনএইচএস

শীতকালীন চাপ ও চলমান মহামারির দরুন যুক্তরাজ্যের হাসপাতালসমূহে বড়ো ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে জরুরী চিকিৎসা প্রয়োজন এমন অনেক রোগীকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে, ওয়ার্ডগুলোতে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট এবং স্টাফদের অনুপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তার জন্য সেনা সদস্যদের নিয়োগ করেছে দেশটির সরকার। সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি বলা হয়, এখন থেকে পরবর্তী তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) লন্ডন কার্যালয়ে ২০০ সশস্ত্র সেনাসদস্য সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবেন। তাদের একমাত্র কাজ হবে এনএইচএসের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা করা।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার ডেভিড স্পাইগোলহল্টার বলেন যে, লন্ডনে হাসপাতালে রোগীদের ভর্তি স্থিতিশীল মনে হলেও এমনকি হ্রাস পেলেও দেশের অন্যান্য স্থানে হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, এখনো ইনটেনসিভ কেয়ার ভেন্টিলেশন এবং মৃত্যুর সংখ্যা মারাত্মক বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা না গেলেও, আগামীতে এর আশংকা রয়েছে। সেইজ বলেছিলো, যদি আমরা শুধুমাত্র প্ল্যান-বি-এর মধ্যে আটকে থাকি তবে ইংল্যান্ডে হাসপাতালে ভর্তি দৈনিক ৩ হাজারের বেশি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তবে বর্তমানে দৈনিক রোগী ভর্তির সংখ্যা ২ হাজারের বেশি নয় এবং আশা করা যায় এটা ৩ হাজার অতিক্রম করবে না।
এনএইচএস-এর ন্যাশনাল মেডিকেল ডিরেক্টর অধ্যাপক স্টিফেন পাউয়িস বলেন, কোভিড-১৯ এর কেসগুলো হসপিটাল ট্রাস্ট কর্মীদের উপর বাড়তি বোঝা চাপাচ্ছে ।
তিনি বলেন, ওমিক্রনের মানে হচ্ছে, অধিকসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হবে এবং কম সংখ্যক স্টাফ দ্বারা তা করতে হবে।
প্রকৃতপক্ষে গত সপ্তাহে দৈনিক এনএইচএস ব্যাপী ১০ হাজারেরও বেশি সহকর্মী অনুপস্থিত ছিলেন। ওমিক্রন দ্রুত ছড়ায়। এর ফলে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে হাসপাতালসমূহে কোভিড কেসসমূহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
স্টিফেন আরো বলেন, বরাবরের মতোই স্টাফরা এগিয়ে এসেছে কিন্তু লোকজন টিকা গ্রহণ করেছে, তা নিশ্চিত করতে জনগণ সহায়তা করতে পারে।
গত সপ্তাহে এক চতুর্থাংশ অ্যাম্বুলেন্স এএন্ডই স্টাফের কাছে রোগীদের হস্তান্তরে দীর্ঘ বিলম্বের সম্মুখীন হয়। এক্ষেত্রে ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত ৩০ মিনিটেরও বেশি অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ২৩ শতাংশ ক্রুদের। এ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ১৬টি হসপিটাল ট্রাস্ট মারাত্মক খারাপ অবস্থায় রয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button