মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ ব্রেক্সিটকে খুব ভালো বলে মনে করেন
ব্রিটেনের মাত্র ৪ শতাংশ বাসিন্দা মনে করেন, ট্রানজিশন পিরিয়ড অর্থ্যাৎ ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার শেষ সময়সীমা থেকে এ পর্যন্ত ব্রেক্সিট খুব ভালো গিয়েছে। একটি নতুন ইউগভ জরীপে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। গত বুধবার এই জরীপে মোট ৬৫৪৬ ব্যক্তি অংশগ্রহন করেন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ব্রিটেন ভালো না খারাপ গিয়েছে এমন প্রশ্ন তাদের জিজ্ঞেস করা হয়। এক্ষেত্রে ১৪ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, সবকিছু বেশ ভালো গেছে, আর ২১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন, ব্রেক্সিটের প্রভাব ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনটাই নয়। অপরদিকে জরীপে অংশ নেয়া ২১ শতাংশ লোক বিশ্বাস করেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী সময় বেশ খারাপ গেছে। অপর ৩২ শতাংশের মতে, এ সময়টা খুব খারাপ গেছে। অবশিষ্ট ৮ শতাংশ বলেন, ব্রেক্সিট উপকারী না ক্ষতিকর এ ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নন।
জ্বালানী সংকটের এ সময়ে জরীপটি করা হয়েছে, যে সংকটের জন্য ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের প্রত্যাহারকে আংশিকভাবে দায়ী করা হচ্ছে।ইইউ ব্লকের সাবেক প্রধান আলোচক মিচেল বার্নিয়ার, যিনি বর্তমানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদ প্রত্যাশী, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ব্রিটেনের এইচজিভি ড্রাইভার সংকটকে দায়ী করেন। এর কারন হিসেবে তিনি লোকজনের চলাচলের স্বাধীনতার অবসান ঘটানো এবং একক মার্কেট ত্যাগে ব্রিটেনের সিদ্ধান্তকে দায়ী করেন।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে তিনি বলেছিলেন, এটা ব্রেক্সিটের একটি প্রত্যক্ষ ও মেকানিক্যাল পরিনতি। জার্মানীর নির্বাচন বিজয়ী সোশ্যাল ডেমোক্রাটস্ পার্টির ওলাফ শুলজ এই বলে ইংগীত দেন যে, ব্রিটেনের সংকটের কারন ব্রেক্সিট। কিন্তু ব্রিটিশ পরিবহন মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস্ স্বীকার করেন যে, এটা নিঃসন্দেহে একটি ফ্যাক্টর। লেবার নেতা কেইর স্টার্মার িস্বীকার করেন যে, ব্রেক্সিট এক্ষেত্রে প্রভাব রেখেছে। ইইউয়ে থাকা বা ত্যাগ যে কোন বিষয়ে ভোট দেয়া হোক না কেনো, এটা স্পষ্ট যে, যদি আমাদের ইইউ ত্যাগ করতে হতো তবে আমাদের এইচজিভি ড্রাইভারের সংখ্যা কমে যেতো। তিনি বলেন, আমি মনে করি, ব্রিটিশ জনগনের উচিত ক্রোধ ও হতাশা ব্যক্ত করা। এটা সম্পূর্ন পরিকল্পনাহীন। এ বিষয়ে আগেই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে এবং তা পূর্বাভাসযোগ্য।
পেট্রোলের সংকট ছাড়াও ব্রেক্সিট সংশ্লিষ্ট স্টাফ সংকটের কারনে গোটা ক্রিসমাসের সময় কিছু পন্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়েছে।