বরিস জনসনের স্বীকারোক্তি:
আর্থিক সেবাসমূহের কারণে ব্রেক্সিট চুক্তিতে কিছু অসুবিধা হতে পারে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, আমরা ব্রেক্সিট বানিজ্য চুক্তি ইইউ মার্কেট ব্যাপী যতোটা বিস্তৃত হবে বলে ভেবেছি সম্ভবত: ততোটা হবে না। তবে তিনি এই বলে জোর দিয়েছেন যে, সমালোচকরা এটা সম্ভব হবে না বললেও তিনি একটি চুক্তি অর্জন করেছেন। জনসন বলেন, সার্ভিস ইন্ডাষ্ট্রিসমূহ, ইইউ-তে যুক্তরাজ্যের রফতানীর ক্ষেত্রে বড়ো ধরনের রেগুলেটরী কিংবা অন্য নন-ট্যারিফ বাধাসমূহের সম্মুখীন হচ্ছে। সলিসিটর ও ব্যারিস্টারদের প্রবেশ এবং ডিজিটালের জন্য একটি ভালো চুক্তি হয়েছে। তবে ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেজ অর্থাৎ আর্থিক সেবাসমূহের ক্ষেত্রে চুক্তিটি সম্ভবত: খুব বেশী দূর অগ্রসর হবে না, যেমনটি আমরা চাই। চুক্তিতে সম্ভাব্য ট্যারিফ আরোপের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে, যদি যুক্তরাজ্য বিদ্যমান স্ট্যান্ডার্ড বা মানসমূহ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বিচ্যুত হয়। জনসন আরো বলেন, ব্রেক্সিটপন্থী রক্ষণশীল এমপিরা খুব বেশী বিধিনিষেধকারী মনে করা উচিত নয়। সত্যি বলতে গেলে, যুক্তরাজ্য তার ছেলেমেয়েদের চিমনীতে নিক্ষেপ করতে পারে না কিংবা তার সমূদ্র সৈকতগুলোতে আবর্জনা ঢালতে পারে না।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য তার নিজস্ব ট্যারিফ আরোপের সম্ভাবনা নেই যদি ইইউ আরোপিত ট্যারিফ সমানুপাতিক হয় এবং শালিসি কর্তৃক অনুমোদিত হয়। আর যদি সেটা নিয়মিত ঘটে, তবে যুক্তরাজ্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গ্যানাইজেশন-এর বাণিজ্য শর্তাবলীতে ফিরে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হলে আরো পরিকল্পনা আসবে। একটি সরকারী প্রয়াস এগুলোর সংকলনে সক্রিয় এবং আমরা এ মুহূর্তে এসব নিয়ে বেশী বলতে চাইনে, কারণ এগুলো ফলপ্রসু না-ও হতে পারে।
বরিস জনসন আরো বলেন, ব্রেক্সিট চুক্তি হয়েছে, কিন্তু অনেক জটিল বিষয়ের এখনো সমাধান হয়নি। এটা একটি দীর্ঘ ও ভঙ্গুর সময়ের শেষ প্রান্ত, যাতে আমরা চেষ্টা করছি ইউরোপীয় ইউনিয়ের মহতী প্রকল্পের সাথে থাকতে। আমি মনে করি, এই চুক্তি আমাদেরকে একটি নতুন বন্ধুত্ব ও অংশিদারিত্বের ভিত্তি প্রদান করবে, য ঐসব লোকজনকে আকৃষ্ট করবে, যারা ইউরোপকে ভালোবাসেন। তবে এটা এমন কিছুও হতে হবে, যা এমন লোকজনের কাছে স্বাগত হবে, যারা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুযোগ সুবিধার পক্ষপাতী।