ব্রেক্সিটের ফলে খাদ্যমূল্য বেড়েছে ৭.২ বিলিয়ন পাউন্ড

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক নতুন সমীক্ষা অনুসারে, ব্রেক্সিটের ফলে যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলোকে খাদ্যের জন্য বর্ধিত ৬ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করতে হয়েছে। আর এর ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্রতম পরিবারগুলো। ব্রেক্সিটের অর্থ্যাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পর থেকে খাদ্যের মূল্য বেড়েছে ৩ শতাংশ। ব্রেক্সিটের ফলে গড়ে প্রতিটি গৃহস্থালীর ক্ষতি হয়েছে ২১০ পাউন্ড কিংবা সামগ্রিকভাবে ৬ বিলিয়ন পাউন্ড। যেহেতু দরিদ্রতম পরিবারগুলো খাদ্যের পেছনে তাদের আয়ের একটি বড়ো অংশ ব্যয় করে, তাই এই শ্রেনী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশী, বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
যুক্তরাজ্যে অক্টোবরে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ১১.১ শতাংশে উন্নীত হয়, যা ১৯৮১ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম এর সর্বশেষ ডাটা বা উপাত্ত অনুসারে, গত নভেম্বরে যুক্তরাজ্যে খাদ্যমূল্যের স্ফীতি নতুন উচ্চতায় অর্থ্যাৎ ১২.৪ শতাংশে পৌঁছে। ডিম, ডেইরী পন্য ও কফির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধির ফলে এটা ঘটেছে। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইইউ ত্যাগের পর ফার্মগুলোকে উচ্চ মূল্যবৃদ্ধির সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং এই মূল্যবৃদ্ধি তারা গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন।
গবেষকরা বলেন, ব্রেক্সিটের পর ট্রেড এন্ড কোঅপারেশন চুক্তি যুক্তরাজ্যকে ঐ ব্লকের সাথে ট্যারিফমুক্তভাবে ব্যবসায় সক্ষম করেছে বটে, তবে এতে ইইউ’র গভীরতার অভাব রয়েছে।
তাদের মতে, উভয়পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত এনটিবি অর্থ্যাৎ নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার চুক্তি ব্যবসার ব্যয় তাৎপর্যপূর্নভাবে বৃদ্ধি করেছে। বিস্তৃত কাস্টমস্ চেক, রুলস অব অরিজিন রিকোয়ারমেন্টসহ অন্যান্য পদক্ষেপ এই ব্যবসার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button