ব্রেক্সিটের পর কোনো অগ্রাধিকার পাবে না ইইউ’র নাগরিকরা

ইউরোপ থেকে সীমাহীন অভিবাসন প্রক্রিয়া বন্ধের প্রতিশ্রুতি

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আসা অভিবাসীদের অন্যদের মতোই অভিবাসন চুক্তির মুখোমুখি হওয়া উচিত। যুক্তরাজ্য সম্পূর্ণরূপে ২০১৯ সালে ইইউ থেকে বের হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে দেশটির মন্ত্রীসভা সম্মত হয়েছে। নীতিগতভাবে এ চুক্তি স্বীকৃত ও স্বাধীন দেশান্তর উপদেষ্টা কমিটির (এমএসি) সুপারিশ অনুসরণ করবে। এ কমিটি শ্রম বিষয় সংগঠন ও সংস্থার মাধ্যমে সমর্থিত। সোমবার এক দীর্ঘ বৈঠকে এমএসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক অ্যালান ম্যানিংয়ের উপস্থাপনার পর মন্ত্রীসভায় ইইউর অভিবাসীদের বিষয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বিবিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রীসভা সর্বাত্মকভাবে জাতীয়তার পরিবর্তে দক্ষতার ভিত্তির ব্যবস্থাকে সমর্থন করছে। তবে কেউ কেউ ভয় পাচ্ছেন যে, কম দক্ষ ইইউ অভিবাসীরা ব্যবসায় ক্ষতি করতে পারে। একটি সূত্র মতে, বৈঠকে এ নীতিতে সবাই একমত হয়েছিল যে, কাজের সুযোগ দেওয়ার সময় বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের অভিবাসীদের বিষয়ে কোনো পক্ষপাত দেখাবে না যুক্তরাজ্য।

তবে মন্ত্রীসভার এক সদস্য বিবিসিকে বলেছেন, এ চুক্তিটি দৃঢ় কোনো সিদ্ধান্ত নিবে না। অবশ্য একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বৃহত্তর ব্রেক্সিটের বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে ইইউ নাগরিকদের জন্য ‘হালকা ধরনের অভিবাসন’ নিয়ম থাকতে পারে।

এদিকে ব্রেক্সিটের পর ইউরোপ থেকে সীমাহীন অভিবাসন প্রক্রিয়া বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক লরা কুয়েনসবার্গ বলেছেন, অভিবাসীদের আসা-যাওয়ার স্বাধীনতা শেষ হওয়াটা মের জন্য অলঙ্কার হয়ে ওঠেছে। অপরদিকে শ্রমিক সমর্থিত ব্রেক্সিট সেক্রেটারি স্যার কেয়ার স্টারমের বলেছেন, বৈষম্য প্রতিরোধে একটি ‘ন্যায্য’ ব্যবস্থা দরকার। বিবিসিতে এক অনুষ্ঠানে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, ইইউর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ইইউ নাগরিকদের অভিবাসন নিয়ম নিয়ে আলোচনা হতে পারে। -বিবিসি

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button