মাওলানা নিজামীর মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা আজকের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। নিজামীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পাবার পর রায়ের পরবর্তী দিন নির্ধারন করা হবে বলেও ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছেন।
আজ রায় ঘোষণার দিনে প্রথমে সকালে কারা পতৃপক্ষ অসুস্থতার কারণে নিজামীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা সম্ভব নয় বলে ট্রাইব্যুনালের রেজিষ্ট্রারকে চিঠি দিয়ে জানান। এর পর থেকে রায় নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। পরে সকাল ১১ টায় আদালত বসলে বিষয়টি দুই পক্ষের আইনজীবিদের নজরে এনে দ্ইু পক্ষের মতামত চান। পরে প্রায় ২০ মিনিট দুই পক্ষের আইনজীবিদের মধ্যে শুনানী হয়। এসময় আসামী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট তাজুল ইসলাম আদালতকে বলেন, যেহেতু আসামীর অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণার নিয়ম নেই তাই নিজামীকে উপস্থিত না করা পর্যন্ত রায় ঘোষণা স্থগিত রাখা উচিত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবিরা বিষয়টি আদালতের উপর ছেড়ে দেন। আদালত তখন বলেন, আসামীর অসুস্থতার মধ্যে রায় ঘোষণা আমরা যুত্তিযুক্ত মনে করিনা। তাই মেডিকেল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রায় ঘোষণা স্থগিত থাকবে।
এদিকে কারা কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিজামীর রক্ষচাপ বেড়ে যাওয়ায় তিনি মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাঁকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ রায়ের দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
এরই প্রেক্ষিতে গতকাল নিজামীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি ইউনিট থেকে সোমবার বিকেল ৪টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিজামীকে একটি প্রিজন ভ্যানযোগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
২০১২ সালের ২৮ মে মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, স্বাধীনতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য উসকানি, পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র ও বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ ১৬টি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয় ।
এই ১৬টি অভিযোগের মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যা বিষয়ে আলাদা কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল চার্জ গঠনের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যাকে আলাদা একটি অভিযোগ হিসেবে গণ্য করে চার্জ গঠন করেন।