এডুকেশন লোন থেকে বঞ্চিত অভিবাসী মেধাবী শিক্ষার্থীরা

Education in uk schoolব্রিটেনের এডুকেশন সিস্টেমে যে ব্যায়বহুল তা কারো অজানা নয়। অধিকাংশ বৃটিশ শিক্ষার্থীরা এডুকেশন লোন পেয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে অভিবাসী শিক্ষার্থীরা। এ লেভেল পরীক্ষায় এ স্টার গ্রেড নম্বর পেয়েও এডুকেশন লোন পাচ্ছেনা অভিবাসী শিক্ষার্থীরা। এতে তাদের অনেকের শিক্ষাজীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার।
হাসান আল শেরবাজ নামের এক শিক্ষার্থী এ লেভেল পরীক্ষা এ স্টার গ্রেড নম্বর অর্জন করেছে। কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় সে এডুকেশন লোনের আবেদন জানায়। কিন্তু অভিবাসী হওয়ায় সে লোন পায়নি। অন্যদিকে তার ব্রিটিশ বন্ধুরা সহজেই লোন পেয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করছে।
শেরবাজ জানায়, সে ২০০৬ সালে তার পরিবারের সাথে ইরাক থেকে বৃটেনে আসে। ব্রিটেনে সে নবম শ্রেনীতে ভর্তি হয়। সাফল্যের সাথে সবগুলো পরীক্ষায় পাশ করলেও অর্থাভাবে এই মেধাবীর শিক্ষা জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার।
শেরবাজ দুঃখ করে বলে, ইরাকে থাকলে আমাকে রাস্তায় খুন হতে হতো। আমি ব্রিটেনের এডুকেশন লোন নীতিতে বৈষম্য দেখে খুব আহত হয়েছি। আমি জানি না কিভাবে আমার শিক্ষাজীবন শেষ করব।
সম্প্রতি এডুকেশন লোন না পেয়ে একটি চ্যারিটির সহযোগীতায় ব্রিটিশ কোর্টে অভিযোগ করেন জামবিয়ার এক অভিবাসী শিক্ষার্থী। সে ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে ব্রিটেনে পড়াশোনা করেছে। এ লেভেল পাশ করার পরও তাকে এডুকেশন না দেয়ার কারণ হিসেবে কোর্ট জানায়, শুধুমাত্র বৃটিশ শিক্ষার্থী এবং যে সব অভিবাসী শিক্ষার্থীর আইডেন্টিফাইড লিভ এপ্লিকেশন গ্রান্টেড হয়েছে শুধু তারাই এডুকেশন লোন পাবে।
শেরবাজ জানান, সে দুই বছর আগে আইডেন্টিফাইড লিভ এপ্লিকেশন করেছে। কিন্তু এখনো গ্রান্টেড হয়নি।
চ্যারিটি জানায়, অভিবাসী শিক্ষার্থীদের সাধারনত ইউনিভার্সিটি পর্যায় পর্যন্ত পড়াশোনা করতে দেখা যায়না। কারন তাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। আর যারা মেধাবী তাদের জন্য বাধা হয়ে দাড়ায় ব্যায়বহুল শিক্ষা ব্যাবস্থা। আর এতে তারা জব মার্কেটে ব্রিটিশদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে। অনেকেই আশাহত হয়ে যায়। এ পর্যন্ত কত সংখ্যাক অভিবাসী শিক্ষার্থী অর্থাভাবে উচ্চতর পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে তার কোন পরিসংখ্যান নেই।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button