প্রথম নারী হিসেবে রাজ্জি রোমের মেয়র নির্বাচিত

Razziপ্রতিষ্ঠান বিরোধী আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ফাইভ স্টার মুভমেন্ট ইতালির মেয়র নির্বাচনে বড় ধরনের জয় পেয়েছে।
বিবিসি বলছে, রোম ও তুরিনে তাদের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এই নির্বাচনে জয়ের ফলে ভির্জিনিয়া রাজ্জি রোমের প্রথম নারী মেয়র হতে যাচ্ছেন। তুরিনে মেয়র হচ্ছেন চিয়ারা আপেনদিনো।  ফাইভ স্টারের এ বিজয়কে মধ্যবাম ডেমক্রেটিক পার্টি (পিডি) ও প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি’র জন্য বড় ধরনের ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন এ দল অবশ্য দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী মিলান ও বোলোনিয়া নিজেদের করায়ত্তে রাখতে পেরেছে।  দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর নেপলসে দ্বিতীয় বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র রাজনীতিবিদ ও সাবেক আইন কর্মকর্তা লুইজি দে মাজিস্ত্রিস। দুই ধাপে অনুষ্ঠিত এ মেয়র নির্বাচন শুরু হয়েছিল পক্ষকাল আগে। প্রথম ধাপে রোমে ফাইভ স্টারের রাজ্জি ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন, তার প্রতিদ্বন্দ¦ী রবার্তো জাকেত্তি পেয়েছিলেন ২৪ শতাংশ ভোট। রোববার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে পরাজিত করে বিজয় নিশ্চিত করেন রাজ্জি। বিজয়ী হওয়ার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ৩৭ বছর বয়সী এ আইনজীবী বলেন, “আমি রোমের সকলের মেয়র হব। আমি শহর কর্তৃপক্ষগুলোর কাজে  বৈধতা ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনবো।”
“২০ বছর ধরে এখানকার শাসনের অবস্থা ছিল করুণ; আমাদের হাত দিয়ে এর নতুন সূচনা হলো”, বলেন তিনি। ব্যয় নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগে ক্ষমতাসীন দলের ইগনাজিও মারিনো গেল বছরের অক্টোবরে রোমের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তখন থেকেই শহরটি মেয়রশূন্য ছিল। এছাড়া রোমের সিটি হলের সঙ্গে মাফিয়াচক্রের যোগসাজশ আছে এমন অভিযোগও ফাইভ স্টারের বিজয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে বলে বিবিসির ধারণা।
ইতালির রাজনীতিতে মহামারীর আকার ধারণ করা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়ে ২০০৯ সালে কৌতুকাভিনেতা বেপ্পে গ্রিল্লো ফাইভ স্টার আন্দোলনের সূচনা করেন। রাজ্জি এমন সময়ে নির্বাচিত হলেন যখন শহরটি ১৩ বিলিয়ন ডলার দেনায় ডুবে আছে; যার পরিমান শহরটির মোট বাজেটেরও দ্বিগুণ।
রাজ্জির বিজয় ‘অনুমিত’ হলেও চমক দেখিয়েছেন সিয়ারা আপেনদিনো; তুরিনে ফাইভ স্টারের এ প্রার্থী প্রথম দফার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। দ্বিতীয় দফায় পিডির প্রার্থীকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে বিশ্বায়নবিরোধী আন্দোলনকে বিজয় এনে দেন আপেনদিনো। দুই শহরে জয়ী হওয়ার মধ্যদিয়ে ২০১৮-র নির্বাচনে দলটি প্রধান বিরোধী দল হিসেবেও আবির্ভূত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button