কী আছে জামায়াতের আলোচিত লিফলেটে ?

Jamatদেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি লিফলেটে বলা হয়েছে, সীমাহীন দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেল গ্যাস পানি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে ব্যর্থতা, শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য, হলমার্ক-ডেসটিনি-শেয়ারবাজার-পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগের সীমাহীন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের কারণে আওয়ামী লীগ আজ জনবিচ্ছিন্ন। ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার যে ষড়যন্ত্র করে আসছে তা বাস্তবায়নের পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা মনে করে জামায়াতে ইসলামীকে। তাই জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার উঠে পড়ে লেগেছে। এতে বলা হয়, সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ সরকার জনসমর্থন হারিয়ে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সরকারের গণতন্ত্র ধ্বংস ও ইসলাম নির্মূলের চক্রান্ত এবং দেশবিরোধী যাবতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সহস্রাধিক স্পটসহ দেশব্যাপী এই লিফলেটটি বিতরণ করা হয়। এতেও বাধা দিয়েছে সরকার। রাজধানীতেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জন নেতা-কর্মীকে। “জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার সরকারি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন-আল্লাহর সার্বভৌমত্বের কথা বলা কি অপরাধ”? শীর্ষক লিফলেটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের সর্ববৃহৎ ইসলামী দল। ইসলামী মূল্যবোধ, মৌলিক বিশ্বাস ও চেতনার ভিত্তিতে শোষণমুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের মহান উদ্দেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। অতীতের প্রতিটি গণআন্দোলনে জামায়াতের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। জামায়াত নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী একটি নির্বাচনীমুখী দল। অতীতের প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করেছে। প্রত্যেক সংসদে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল, বর্তমান সংসদেও আছে।
লিফলেটে বলা হয়, হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ১ আগস্ট এক বিভক্তি রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ করেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আপিল নিষ্পত্তির মাধ্যমে নিবন্ধন সংক্রান্ত রায়ের চূড়ান্ত ফয়সালা হবে। আমরা আশা করি, সুপ্রিম কোর্টে আমরা ন্যায়বিচার পাবো এবং জামায়াতের নিবন্ধন বহাল থাকবে। এতে আরো বলা হয়, সরকার সংবিধান, গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার পদদলিত করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। জামায়াতের অপরাধ, সংগঠনের গঠনতন্ত্রে লেখা আছে, ‘সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ’ আর জামায়াতের মৌলিক আক্বীদা হচ্ছে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’। মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনের সুরা আলে ইমরানের ১৮৯ নং আয়াতে ঘোষণা করেছেন, ‘আসমানসমূহ ও জমিনের সার্বভৌমত্ব এককভাবে আল্লাহর জন্যে; আল্লাহ তায়ালাই সবকিছুর ওপর একক ক্ষমতাবান’। দলীয় গঠনতন্ত্রে আল কুরআনের ঐ ঘোষণা ও ইসলামের মৌলিক আক্বীদা এবং বিশ্বাসের বিষয় থাকার কারণে জামায়াতের গঠনতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বলে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। সংবিধানের শিরোনামেও ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ লেখা রয়েছে। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে কোনো ব্যক্তির রাজনৈতিক দল, সভা সমিতি করার অধিকার স্বীকৃত। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ইসলামী আদর্শ অনুসরণ ও পালন নিষিদ্ধ নয়। তাছাড়া একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিবন্ধন প্রদান ও বাতিলের মূল কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন।
লিফলেটে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ  থেকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার অন্যায় ও বেআইনী দাবি করা হয়। সরকার তাদের অযৌক্তিক দাবি অনুযায়ী ব্যক্তির পাশাপাশি দলকেও বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে আইন সংশোধন করে। অতি সম্প্রতি এই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে যা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার মূল ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
এতে আরো বলা হয় শুধুমাত্র জামায়াতে ইসলামী নয় বরং ইসলাম ও ইসলামী রাজনীতির মূলোৎপাটন করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই দেশের আলেম-ওলামা এবং ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবিকে উপেক্ষা করে ইসলামী বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে। একই সাথে ইসলাম বিরোধী নারী নীতি প্রণয়ন করে বর্তমান সরকার। সরকার ইসলামের সম্পত্তি বণ্টন নীতিমালাকে লংঘন করে নতুন নীতি প্রণয়ন করে। সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টারা অহরহই হিজাব, পর্দা কিংবা বোরখা নিয়ে কটূক্তি করে আসছে। স্বাধীন বাংলাদেশে সুষ্ঠু রাজনীতির সব ইতিহাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ সরকারের আমলেই প্রথমবারের মতো বোরখা পরিহিতা মেয়েদেরকে কারাগারে এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। এই সরকারের আমলেই বায়তুল মোকাররমে তালা লাগানো হয়। ৩শ’র অধিক মসজিদে গোয়েন্দা নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়। আলেম-ওলামা এবং ধর্মপ্রাণ নাগরিক এবং ধর্মীয় শিক্ষকদেরকে অপমান করে তাদেরকে মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে হেনস্থা করা হয়। ইসলাম পালন করলে তাকে উগ্র, জঙ্গি আখ্যা দিয়ে তাকে সামাজিক শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ইসলামপন্থী জনগণের ওপরে এ সরকার অত্যাচারের যে স্টীম রোলার চালিয়েছে তার কোন নজির সাম্প্রতিক সময়ে আর পাওয়া যায় না।
লিফলেটে বলা হয় গত মে ২০১৩ তারিখে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকারের নির্দেশে ১০ হাজারের বেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ঘুমন্ত ও ইবাদতরত মুসল্লীদের উপর এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে গুলী, বিস্ফোরক, সাউন্ড গ্রেনেড থেকে শুরু করে নানা ধরনের মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। অভিযানের এই নৃশংসতা আড়াল করার জন্য আগে থেকেই সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বেশ কিছু মিডিয়ার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। তথাপি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং গণমাধ্যমের তথ্যসূত্র থেকে ঐ অভিযানে শত শত প্রাণহানির ঘটনা জানা যায়। ঐ ঘটনায় অসংখ্য ব্যক্তি আহত হয়ে বর্তমানে অসহায় জীবনযাপন করছে। হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে এরপর দেশব্যাপী সাঁড়াশী অভিযান শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। মূলত ইসলামের আওয়াজকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য সরকার এই বর্বরতম অভিযান পরিচালনা করেছে।
লিফলেটে আরো বলা হয়, সীমাহীন দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেল-গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে ব্যর্থতা, শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য, হলমার্ক- ডেসটিনি-শেয়ারবাজার-পদ্মাসেতু কেলেঙ্কারি এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগের সীমাহীন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও নৈরাজ্যের কারণে আওয়ামী লীগ আজ জনবিচ্ছিন্ন। এতে বলা হয় ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার যে ষড়যন্ত্র করে আসছে তা বাস্তবায়নের পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা মনে করে জামায়াতে ইসলামীকে। তাই জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার উঠেপড়ে লেগেছে।
এতে আরো বলা হয়, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ৪২ বছর পূর্বের মীমাংসিত ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লাসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে তাদেরকে ফাঁসিসহ শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। উদ্দেশ্য হলো বিচারের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করা।
লিফলেটে বলা হয়, সরকার জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২৬ হাজার মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৩ হাজার নেতাকর্মীকে। আসামী করা হয়েছে ৫ লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে। রিমান্ডে নিয়ে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের শত শত
নেতা-কর্মীকে। জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৮ জন নেতাকে গুম করা হয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগরী কার্যালয়সহ জেলা ও থানা পর্যায়ের প্রায় সকল কার্যালয় দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জামায়াত তার গণতান্ত্রিক অধিকার, মিছিল, সমাবেশের আয়োজন করলেই পুলিশ সেখানে হামলা চালাচ্ছে ও গুলী করছে। জামায়াত সভা-সমাবেশের অনুমতি চাইলে তা দেয়া হচ্ছে না বরং ১৪৪ ধারা জারি করে আরো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশ হেফাজতে আটক জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদেরকে অঙ্গহানি করা হয়েছে। খুব কাছ থেকে গুলী করে বিকলাঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসির রায় ঘোষণার পর সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে নেমে আসলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত ২৩১ জনকে হত্যা করে এ সরকার। গত রমযান মাসে ১০ জন, ঈদুল ফিতরের পর আরো ২ জনসহ সরকার এ পর্যন্ত জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ২৪৩ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক তাসনীম আলমসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে একটানা ৫৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন চালিয়ে তাকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হওয়া মাত্রই জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়।
লিফলেটে আরো বলা হয়, সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ সরকার জনসমর্থন হারিয়ে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণ সরকারের এ চরম ব্যর্থতা ও বর্বর নির্যাতনের সমুচিত জবাব দিয়েছে। এ নির্বাচনগুলোতে সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এ ভরাডুবির পর সরকার অনুধাবন করতে পেরেছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আগামী নির্বাচনে তাদের শোচনীয় পরাজয় নিশ্চিত। এ কারণে জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি থাকতেই সরকার তা বানচালের উদ্দেশ্যে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলের সাথে কোন ধরনের  সমঝোতা নাকচ করে দিয়েছেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিকে অগ্রাহ্য করেছেন এবং দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এতে বলা হয়, সরকার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে ও জামায়াতকে ছলেবলে কৌশলে নির্বাচনের বাইরে রেখে এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশকে একটি ধর্মহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে চায়। সরকার ইসলাম ও ধর্মীয় রাজনীতি নির্মূলের চক্রান্ত করে দেশকে অনিবার্য সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকার মূলত বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে পুনরায় একদলীয় বাকশালী শাসন চালু করতে চায়। দেশ ও জাতির এ চরম ক্রান্তিলগ্নে দেশপ্রেমিক জনগণের কাছে সরকারের এই গণতন্ত্র ধ্বংস ও ইসলাম নির্মূলের চক্রান্ত এবং দেশবিরোধী যাবতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button