তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিচারকাজ শুরু করার অনুমোদন

গত তিন মাসে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১২টি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিচারকাজ শুরু করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তারেকের দেয়া বক্তৃতা-বিবৃতিকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে এসব মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আরো অনেক মামলা আছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব মামলার নথি আসছে। এগুলো রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে অনুমোদন দেয়া হবে। গত তিন মাসে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা অনুমোদন দেয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ‘রাষ্ট্রবিরোধী, দেশের স্বাধীনতাবিরোধী’ বিভিন্ন বক্তব্য ও বিবৃতি দেন। রাজধানী ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন।
এ ছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা রকম ‘অপপ্রচার’ চালান এবং বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে ‘মিথ্যা তথ্য’ প্রচার করেন। তার এসব বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম’ হিসেবে উল্লেখ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব মামলা ও জিডি করা হয়।
এসব মামলা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসে। সূত্র জানায়, জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত সময়ে এসব মামলা করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় এসব মামলার অনুমোদন দিচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘একই ঘটনায় এতগুলো মামলা সারা দেশে হলে তার বিচারকাজ কিভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।’
তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘এক ঘটনার জন্য একবারই বিচার হবে। কিন্তু ঘটনা অনেক। বিশেষ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান আসামি তারেক রহমান। মূলতঃ এটাকে কেন্দ্র করেই রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে।’
এদিকে তারেকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। তবে সরকার তার অবস্থান জানা সত্ত্বেও তাঁকে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে এত দিন ব্রিটিশ সরকারের কাছে কোনো অনুরোধ জানায়নি।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা চাওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায় সরকার জরুরি অবস্থা জারির পর গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। এরপর ২০০৮ সালে তিনি ‘চিকিৎসার জন্য’ যুক্তরাজ্যে যান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button