ব্যারিস্টার হলেন জাইমা রহমান

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ডা: জোবায়দা রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান বার-এট-ল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে বার অ্যাট ল’ (লিঙ্কস ইন) করেন তিনি। এরআগে তিনি লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, জাইমা রহমানের ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভ জিয়া পরিবার তথা জাতীয়তাবাদী পরিবারের জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। তবে এমন এক সময় তার সাফল্যের খবর আসলো যখন দাদি বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৬৬৫তম দিন অসুস্থ অবস্থায় কারাবন্দি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসাথে তার উত্তোরত্তর সাফল্য-সমৃদ্ধি কামনা করছি।

জানা গেছে, জিয়া পরিবারের আগামী উত্তরসূরি জাইমা রহমানের এই সাফল্যের জন্য বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা: জোবাইদা রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে বাবা-মা’র সঙ্গে লন্ডনে অবস্থান করছেন। দাদি খালেদা জিয়ার অনুপ্রেরণায় জাইমা রহমান আইনী পেশা বেছে নেন। ফেসবুকে জিয়া পরিবারের ছবি পোস্ট করে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

ইউট্যাবের শুভেচ্ছা: জাইমা রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়- দাদি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইচ্ছেতেই বিলেতে আইন পেশায় পড়াশোনা করেন জাইমা রহমান। এছাড়া দাদা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বাবা তারেক রহমান ও মা ডা. জোবায়দা রহমানের অনুপ্রেরণাও কম নয়। জাইমা ব্যারিস্টার হওয়ায় জিয়া পরিবারের জন্য অত্যন্ত সম্মান ও গৌরবের। আমরা তাকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কিন্তু এমন সময় তিনি ব্যারিস্টার হলেন যখন তার দাদি বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় জেলখানায় দুর্বিষহ শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন। এরপরও হয়তো প্রিয় নাতনির এই সাফল্যের খবর যখন তার কানে পৌঁছাবে- তখন নিশ্চয়ই তিনি আনন্দে উদ্বেলিত হবেন। হয়তো শত সহস্র অবিচার, পীড়ন ও দুঃখ কষ্টের মধ্যেও তিনি নাতনীকে তাড়া করবেন। ইউট্যাবের বিবৃতি দাতাদের অন্যতম হলেন- সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, ড. ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম মজুমদার, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. গোলাম রব্বানি, ড. মাহফুজুল হক, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, অধ্যাপক খায়রুল (শাবিপ্রবি), ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), অধ্যাপক তোজাম্মেল (ইবি) প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ঢাকার হলিফ্যামিলি হাসপাতালে জাইমার জন্ম। জন্মের পর থেকে ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল সড়কের বাসায় দাদী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বড় হয়েছেন তিনি। সেই বাসায় তার বাবা-মাও থাকতেন। ঢাকার বারিধারায় আইএসডি (ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব ঢাকা) স্কুলে ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশুনা করেছেন জাইমা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button