লন্ডনের নর্দমার পানিতেও কোকেন

Kokenইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে নিষিদ্ধ মাদক কোকেনের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি লন্ডনে। গবেষকদের দাবি, লল্ডনে কোকেনের ব্যবহার এতেটাই বেশি যে শহরের নর্দমার লাইনেও কোকেনের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
লিবসনভিত্তিক ইউরোপিয়ান মনিটরিং সেন্টার ফর ড্রাগস অ্যান্ড অ্যাডিকশন নামক সংগঠনটি ইউরোপের পৃথক পৃথক ৪২টি শহরের উপর এই পরীক্ষা চালিয়েছে। প্যারিস, প্রাগ, আমস্টারডার্মের মতো শহরগুলোর তুলনায় লন্ডনের নর্দমার লাইনে প্রায় ৭১১ মিলিগ্রাম বেঞ্জোলেকগোনিন(কোকেনের রাসায়নিক পদার্থ) পদার্থ পাওয়া গেছে। লন্ডনে শুধুমাত্র কোকেন নয় গাঁজা এবং এলএসডির মতো মাদকও প্রচুর পরিমানে সেবন করা হয় বলেও রিপোর্টে জানানো হয়।
পশ্চিম ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই কোকেনের ব্যবহারের মাত্রা অনেক বেশি। প্রাগের প্রতি এক হাজার মানুষ যে পানি ব্যবহার করে তাতে প্রায় ৩২৭ মিলিগ্রাম কোকেন পাওয়া যায়।
গবেষকদলের একজন মার্কোস রবার্টস বলেন, ‘২০০৮ ও ২০০৯ সালের সরকারি হিসেবেই কোকেনের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। কোকেন সেবনের ফলে মানুষ শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা সেবন করছে। কোকেন মস্তিস্ক ও হৃদপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।’
লন্ডনের অপরাধ প্রতিরোধ বিষয়ক মন্ত্রী নরম্যান বেকার জানান, ‘নর্দমার পানি পরীক্ষা করে শহরে কোকেনের প্রাদুর্ভাব বুঝতে পারা তেমন কোনো কাজের বিষয় নয়। আমাদের আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। আমরা কোকেন প্রতিরোধে নতুন নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ করছি।’

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button