কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করবে সরকার

Coxসরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করবে সরকার। বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় এ প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্নসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) অপরাগতা প্রকাশ করায সরকারই কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আভাজার মতো বিশ্বমানের পর্যটন জোন গড়তে প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ জন্য বৈদেশিক সহায়তা লাগবে।
বৈদেশিক সহায়তা অনুসন্ধানের জন্য কক্সবাজারের মনখালীতে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন স্থাপনের প্রাথমিক প্রকল্প ছক প্রণয়ন করে তা অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের কাছে পাঠানো হয়।
২০১০ সালের ২৮ মার্চ পরিকল্পনা কমিশন এটির নীতিগত অনুমোদন দেয়। তবে ২০১০-১২ সময়ে আইডিবি প্রকল্পটির অর্থায়নে অপারগতা প্রকাশ করে।
২০১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যটন সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মনখালীর পরিবর্তে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং এলাকায় ট্যুরিস্ট জোনটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোনে তারকামানের একাধিক হোটেল, কটেজ, বিচ ভিলা/ওয়াটার ভিলা, নাইটক্লাব, কার পার্কিং, সুইমিং পুল, কনভেনশন হল, বার, অডিটোরিয়াম, বিনোদন পার্ক, ক্র্যাফট মার্কেট ও ল্যান্ড স্কেপিংসহ বিভিন্ন পর্যটন সুবিধা থাকার কথা রয়েছে।
প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করা হয় সাবরাং এলাকার ১১৬৪ দশমিক ৮৫ একর জমি। সংশ্লিষ্ট জমির বিষয়ে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মতামত চাওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের মতামতসহ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) স্যাটেলাইট ইমেজ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পাঠায় করপোরেশন।
গত বছরের ৪ এপ্রিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন চিহ্নিত জমির পূর্ণাঙ্গ তফসিল পাঠায়। এর মধ্যে জোত জমির পরিমাণ ৯১ দশমিক ৬৮ একর, খাস জমির পরিমাণ ৯৩৭ দশমিক ৪৬ একর এবং সৈকত এলাকায় জমির পরিমাণ ১৩৫ দশমিক ৭১ একর।
এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন স্থাপনের জন্য গত ১৪ মে ভূমি সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯৩৭ দশমিক ৪৬ একর খাস জমিতে সম্ভাবতা যাচাই ও সৈকত এলাকায় ১৩৫ দশমিক ৭১ একর বালুচর জমি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল পিপিপি’র আওতায় বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন অ্যাট সাবরাং, কক্সবাজার’ শীর্ষক প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে পিপিপি অফিসে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button