মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বের ওপর ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা আরোপ

EUরোহিঙ্গা নিধনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির ওপর ইইউ’র অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাও জোরদার করা হচ্ছে।
আজ সোমবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে ইউরোপে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দ করার জন্য মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বের তালিকা তৈরি করতে জোটের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোঘারিনির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বৈঠক শেষে দেয়া এক বিবৃতিতে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গুরুতর ও পরিকল্পিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমার সামরিক নেতৃত্বকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে এটি হবে এ যাবতকালে ইইউ’র কঠিনতম পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ইতোপূর্বে মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মং মং সোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। মেজর জেনারেল সো গত আগস্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিধনযজ্ঞ চালানো সময় রাখাইন অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন।
রয়েটার্স জানিয়েছে, ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মিয়ানমারের সুনির্দিষ্ট কোনো জেনারেলকে নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় একাধিক জেনারেলের নাম থাকতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯৯০ এর দশক থেকে মিয়ানমারের ওপর আরোপ করা ইইউর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরো জোরোলো করার কথা বলেছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি।
এর আগে রয়েটার্সের তদন্তে রোহিঙ্গা মুসলিম পুরুষদের কুপয়ে অথবা গুলি করে গণকবর দেয়ার তথ্য উঠে এসেছিল। এ ঘটনার সাথে রাখাইনের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী ও সেনাদের জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button