ইন্দোশিয়ায় সুনামিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৩

ইন্দোনেশিয়ার সুন্ড্রা স্ট্রেইট উপকূলীয় এলাকায় সুনামিতে নিহতের সংখ্যা ২২৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এতে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০০০ জন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, শনিবারের সুনামিতে বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘ক্র্যাকাটোয়া’ আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সমুদ্রের তলদেশে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে এ সুনামি হয়। জাভা দ্বীপ ও সুমাত্রার মাঝখানে অবস্থিত সুন্দা স্ট্রেইট উপকূল জাভা সাগরকে ভারত মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে। নিহতের এ ঘটনাগুলো প্যানডেংলাং, লামপাং ও সেরাং অঞ্চলে ঘটেছে।

কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সুনামিতে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। দুর্গত এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে প্রকাশ, ১৮৮৩ সালে ‘ক্র্যাকাটোয়া’ আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। সে সময় উত্তপ্ত লাভায় পুড়ে ছাই হয়ে মারা যায় কয়েক হাজার মানুষ। ওই সময় অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১৩৫ ফুট উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এর ফলে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ সমুদ্রে ভেসে যায়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই সুপ্ত আগ্নেয়গিরি ফের সচল হতে দেখা যায়। ইন্দোনেশিয়ার জিওলজিক এজেন্সি জানিয়েছে, গত শুক্রবার ‘ক্র্যাকাটোয়া’ আগ্নেয়গিরি থেকে দুই মিনিট ১২ সেকেন্ড অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এর ফলে পাহাড়ের চারশ মিটার বা এক হাজার তিনশ ফুট উঁচুতে ছাই-মেঘের সৃষ্টি হয়।

ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। কারণ, এটি ‘রিং অব ফায়ার’ নামক ভয়াবহ এক আগ্নেয়গিরির চক্রের ওপরে অবস্থান করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপর যাদের অবস্থান, সারা দুনিয়ার এমন যত জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে, তাদের অর্ধেকের বেশি এই চক্রের অন্তর্ভুক্ত।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরের বালারোয়া ও পেতোবো এলাকার ভূমিকম্প ও সুনামিতে মাটি তরল হয়ে হাজারো মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। তাতে প্রায় দেড় হাজার মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আগস্টের ৫ তারিখে আঘাত হানা ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪৬০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলজুড়ে দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার ইন্দোনেশীয় ছিল।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button