মিশরের সংকট সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ

Egyptমিশরের সেনাবাহিনী সেদেশের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার একমাস পরে আমেরিকা আর ইউরোপের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা অন্তর্র্বতী সরকার আর মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। তারা চেষ্টা করছেন যাতে এই সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো যায়।
আমেরিকার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম বার্নস মোহাম্মদ মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরপরই মিশরের অন্তর্র্বতী প্রেসিডেন্ট আদলি মানসুর আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল ফাহমির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত বের্নার্দিনো লিও ছিলেন।
ওই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও, মিশরে আশাবাদ তৈরি হয়েছে যে, এই আলোচনা সেখানে সংঘাত বন্ধে সহায়তা করবে।
মিশরে এই আলোচনা এমন সময়ে শুরু হলো, যখন মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের কায়রোয় অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে সেখানে উদ্বেগ বাড়ছে।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল ফাহমি বলেছেন, “পরিস্থিতি গুরুতর না হলে তারা বিক্ষোভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করবেন না।”
মি. ফাহমি বলেন, “সরকার আর মুসলিম ব্রাদারহুডের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সবসময়েই যোগাযোগ রয়েছে। এটা এখন সবাই বুঝতে পারছে যে ঠিক কি করতে হবে আর মিশরের সবাই তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চাইছে। কারণ এই নিরাপত্তাহীনতা দীর্ঘ সময় চলতে পারে না ‘
তবে বিক্ষোভে তাদের শক্তি প্রয়োগের কোনো ইচ্ছা নেই, যদি না পরিস্থিতি আসলেই ততটা গুরুতর হয়ে দাঁড়ায়। এই আলোচনা এমন সময় শুরু হলো, যখন মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা কায়রোয় বড় ধরনের দুটি অবস্থান কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন।
সমর্থকরা দাবি করছেন যেন মুরসিকে পুনরায় দায়িত্বে বহাল করা হয়। এই দাবিতে গত একসপ্তাহ ধরেই তারা মিশরে বিক্ষোভ করছেন।
কিন্তু অন্তর্র্বতী সরকার তাদের এই কর্মসূচি ত্যাগ করার আহবান জানিয়ে বলছে, তাদের উচিত রাজনৈতিকভাবে বিষয়টির সমাধান করা।
এদিকে যেকোনো অবস্থান কর্মসূচি ঠেকাতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়ায় আবারো সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত ৩ জুলাই মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিশরের সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একশজনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button