লন্ডনে সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি আহমদ নূর ও আব্দুল বাতিন ফয়সলকে সংবর্ধনা

JMGসিলেটের শতবর্ষের সাংবাদিকতার স্মারক প্রতিষ্ঠান, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি আহমদ নূর এবং বাংলাদেশ ফটোজার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও সিলেটের ডাকের চীফ ফটোগ্রাফার আব্দুল বাতিন ফয়সল সোমবার সন্ধ্যায় লন্ডনে বিপুল সংবর্ধিত হয়েছেন।
ব্রিটেনের কার্গো ব্যবসার প্রতিকৃত প্রতিষ্ঠান জেএমজি কার্গোর উদ্যোগে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এর পরিচালক এবং জেএমজি এয়ারকার্গোর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মনির আহমদের সভাপতিত্বে, সাংবাদিক এনাম চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতা জাতির বিভেক এবং সাংবাদপত্র সমাজের দর্পন। আজকের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যে অসংগতিগুলো ধরা পড়ছে। সমাজের মানুষের কাছে সাংবাদিকরা সেই বিষয়গুলো তুলে ধরে তাদের নৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন। আর সত্য লিখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কিভাবে কঠিন অবস্থার মুখোমুখী হতে হয় সেটার চিত্র অহরত দেখা যাচ্ছে। বক্তারা সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি আহমেদ নুর এবং ফটো জার্নালিস্ট আব্দুল বাতিন ফয়সল এর প্রসংশা করে বলেন, পূর্বসূরী সাংবাদিকদের সত্যিকারের উত্তরসূরী হিসেবে তারা সিলেটে সৎ সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আহমেদ নূর গত দুই টার্ম ধরে সিলেটের সাংবাদিকদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের খ্যাতিমান পত্রিকা কালের কণ্ঠের সিলেট ব্যুরোচীপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আহমেদ নূর যেভাবে সিলেট অঞ্চলের মানুষের দুঃখ, দুদর্শা, চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরছেন সেটা সত্যিকার অর্থে সিলেটের মানুষের জন্য অনেক বড় অর্জন। আব্দুল বাতিন ফয়সলের প্রসংশা করে বক্তারা বলেন, তিনি এমন একজন চারণ সাংবাদিক যিনি ক্যামেরার ক্লিকে সিলেটকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন নতুন আঙ্গীকে। বক্তারা সাংবাদিক আহমেদ নূর এবং আব্দুল বাতিন ফয়সল এর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
JMG 2চ্যানেল এস এর চীফ রিপোর্টার মুহাম্মদ জুবায়ের এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত অতিথি সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি আহমেদ নূর ও সিলেটের ডাকের চীফ ফটোগ্রাফার এবং সিলেট এক্সপ্রেস সম্পাদক আব্দুল বাতিন ফয়সল, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিবিসিসির ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর মহিব চৌধুরী, বিবিসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহগির বখত ফারুক, এটিএন বাংলার সিইও হাফিজ আলম বখত, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলী ছাদেক শিপু, বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ ও নাজির বাজার এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের চেয়ারম্যান মোশাহিদ হোসাইন, সাপ্তাহিক বাংলা মিরর এর সম্পাদক আব্দুল করিম গণি, সাপ্তাহিক জনমত এর বার্তা সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন, এক্সেলসিয়র সিলেট এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহ জামাল নুরুল হুদা প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন জেএমজির ম্যানেজার শেখ মাহমুদুল হাসান দুলাল, ইউকে বিডির সম্পাদক শোয়েব করির, দৈনিক মানবজমিন এর যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি তানজির আহমদ রাসেল, বাংলাটিভির চীফ রিপোর্টার ইব্রাহিম খলিল।
সংবর্ধনার জবাবে সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি আহমেদ নূর বলেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশের মানুষ বেড়াতে আসা অতিথিদের এতো সম্মান-ভালবাসা দেখায় সেটা সত্যিই আমাদের মোহিত করেছে। তিনি বলেন, আমি সিলেটের সাংবাদিকতার স্মারক প্রতিষ্ঠা সিলেট প্রেসক্লাব এর সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছি। এই প্রেসক্লাব যেমন আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান, তেমনি সিলেটের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না তুলে ধরা আমার মূল কতর্ব্যরে অংশ। তিনি জেএমজির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মনির আহমেদের প্রশংসা করে বলেন, সততা, কর্তব্য, নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতা একজন মানুষকে কতটুকু উপরে নিয়ে যেতে পারে এসব বাস্তব উদাহরণ মনির আহমদ। আজকের প্রজন্মের যে সব যুবক বন্ধুরা ব্যবসা করে উপরে উঠার স্বপ্ন দেখেন, তাদের উচিত মনির আহমদের পথকে অনুসরণ করা। আহমেদ নুর তাকে সংবর্ধনা প্রদানের জন্য মনির আহমদ এবং জেএমজি পরিবারকে কৃতজ্ঞতা জানান।
JMG 3আব্দুল বাতিন ফয়সল তার বক্তব্যে বলেন, দেশে থেকে জেএমজির ম্যানিজিং ডাইরেক্টর মনির আহমদের ব্যবসার ক্ষেত্রে সফলতার গল্প শুনেছি, কিন্তু ব্রিটেন বেড়াতে এসে তার ব্যবসার সফলতার গল্পই শুনিনি, পাশাপাশি আতিথিয়েতায় তার মুগ্ধকরা স্মৃতিটি আমার আজীবন মনে থাকবে। তিনি বলেন, মনির আহমেদ শুধু সরবে এভাবে মানুষকে ভালবাসা দেখান না, তিনি নীরবে অসহায় মানুষকে দান করেন অকাতরে।
সংবর্ধনার আয়োজক জেএমজির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনির আহমদ বলেন, সিলেটের ঐতিহ্য সিলেট প্রেসক্লাব। সিলেট প্রেসক্লাব সিলেটের বঞ্চিত মানুষের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না বলার একমাত্র ভরসাস্থল। সাংবাদিক আহমেদ নূর সেই সম্মানীত প্রেসক্লাবের সভাপতি। আমি তাকে সম্মান দেয়ার কিছু নয়, এ সম্মান তাঁর মতো ব্যক্তিত্বের পাওনা। তিনি বলেন, আহমেদ নুর ভাই সিলেটের সাংবাদিকদের অভিভাবক। তাকে সম্মান জানাতে পেরে আমি নিজিকে গৌরবান্বিত বোধ করছি। তিনি সাংবাদিক আব্দুল বাতিন ফয়সলের প্রসংশা করে বলেন, ফয়স এর মত ব্যক্তিরা সিলেটের তথা দেশকে অনেক কিছু দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মত মানুষকে নিয়ে এরকম অনুষ্ঠান বড় কিছু নয়।
JMG 4

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button