টাইম ম্যাগাজিনের মতে সেরা দশ বই

Bookসাহিত্যিকদের সর্বশ্রেষ্ঠ দর্শন জমা থাকে একেকটি বইয়ে। যুগে যুগে শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের বহু সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি হয়েছে। এসব সাহিত্যকর্মগুলোর ছোট কোনো তালিকা সঠিকভাবে করা আদৌ সম্ভব নয়। তবে কালজয়ী সাহিত্যকর্মের তালিকায় বারবার কয়েকটি বইয়ের নাম উঠে এসেছে। পাঠকপ্রিয়তার দিক থেকেও এই বইগুলোর আবেদন সময়কে জয় করেছে। বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনে তেমনই কয়েকটি বইয়ের তালিকা করা হয়েছে। সেরা ১০টি বইয়ের তালিকায় বিশ্বসেরা সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্মগুলো স্থান করে নিয়েছে। টাইমের চোখে সেরা ১০ বই নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন-
১ – আনা ক্যারেনিনা
রাশিয়ান সাহিত্যিক লিও টলস্টয়ের অমর সৃষ্টিকর্মের একটি আনা ক্যারেনিনা। দ্য রাশিয়ান ম্যাসেঞ্জারে দীর্ঘ সময় ধরে এই উপন্যাসটি প্রকাশ হতে থাকে। তখন থেকেই পাঠকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে পড়ে এই উপন্যাসটি। উপন্যাসের প্লট হিসেবে এর সমকক্ষ লেখনী তখন দ্বিতীয়টি নেই। ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাওয়ার পর বই আকারে এটি পাঠকদের হাতে আসে। রাজনৈতিক বিষয় থাকাতে পাঠকদের কাছে এর মূল্য বাড়তে থাকে ক্রমশ। বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ফয়ডর এই বইটির চমৎকার একটি মূল্যায়ন করেছিলেন। তিনি বলেন, এটি চিত্রকর্মের মতোই স্থির। তার এই দামি মূল্যায়নই প্রমাণ করে বইটির সাহিত্য গুণ কতটা উচ্চমানের। টাইমের চোখে এটি সেরা সাহিত্যকর্ম হিসেবে ওঠে আসার পেছনের আরও অনেক যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, এটি টলস্টয়ের দর্শনের প্রতিনিধিত্ব করেই এই বইটি। আর এ কারণেই আনা ক্যারেনিনা টলস্টয়ের জীবন দর্শনের অসাধারণ এক সাহিত্যকর্ম হিসেবে সমাদৃত। রাশিয়ান ভাষায় লিখিত এই উপন্যাসটি এখনো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাষায় নিয়মিত অনুদৃত হচ্ছে। কালজয়ী উপন্যাসের ছোট তালিকায় সবার আগেই থাকবে এটি।
বই : আনা ক্যারেনিনা
লেখক : লিও টলস্টয়
ভাষা : রাশিয়ান
ধরন : উপন্যাস
প্রকাশক : দ্য রাশিয়ান ম্যাসেঞ্জার
প্রকাশকাল : ১৮৭৭
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮৬৪
২ – ম্যাডাম বোভারি
১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যে কটি অনবদ্য, অমর সাহিত্যকর্ম এখনো পাঠকদের রোমাঞ্চিত করে প্রতিনিয়ত তার একটি ম্যাডাম বোভারি। গুস্তাভ ফ্লবার্টের প্রথম উপন্যাস ছিল এটি। সিরিয়াল আকারে প্রথম দিকে এটি প্রকাশিত হতে তাকে। পরবর্তীতে এটি বই হিসেবে প্রকাশিত হয়। একজন চিকিৎসক নারীর জীবনের নানা বর্ণিল দিকগুলোর অসাধারণ উপস্থাপন উপন্যাসটিকে হৃদয়ছোঁয়া করেছে পাঠকদের কাছে। উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের আড়ালে একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের খোঁজে নতুন করে স্বপ্নবোনা এবং সব প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার গল্প উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে পাঠকদের প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে যাওয়ার পেছনের আসল শক্তি। এসব কারণেই কালজয়ী সেরা বইয়ের
তালিকায় টাইমের চোখ এড়াতে পারেনি ম্যাডাম বোভারি। ১৮৫৬ সালের দিকে যখন এটি পর্ব আকারে প্রকাশ হতে শুরু করে তখন থেকেই একই সঙ্গে আলোচিত ও সমালোচিত হতে থাকে উপন্যাসটি। নগ্নতার উপস্থাপন রয়েছে এমনও অভিযোগও উঠে উপন্যাসটির বিরুদ্ধে।
এর পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার পরও উপন্যাসটি পাঠকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। এটার প্রমাণ পাওয়া যায় বই আকারে প্রকাশের পর। সে বছরই শুধু নয়, সময়ের অন্যতম ‘বেস্টসেলার’ বই হিসেবে আজো এটি সমাদৃত। বলা হয়ে থাকে এটি ফ্লবার্টের মাস্টারপিস।
বই : ম্যাডাম বোভারি
লেখক : গুস্তাভ ফ্লবার্ট
ভাষা : ফ্রেঞ্চ
ধরন : উপন্যাস
প্রকাশক : রিব্যু ডে প্যারিস
প্রকাশকাল : পর্বাকারে ১৮৫৭,
বই আকারে: ১৮৫৭
৩ – ওয়ার অ্যান্ড পিস
১৮৬৯ সালে যখন ওয়ার অ্যান্ড পিস প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন এটি পাঠকদের কাছে যতটা না জনপ্রিয় হয় তার চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায় পরবর্তী সময়ে। শুধু ইংরেজি সাহিত্য নয়, সারা বিশ্বের সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হয় ওয়ার পিস। টলস্টয়ের জীবনে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এবং সৃষ্টিকর্ম ছিল এটি। পাঁচটি রাশিয়ান রাজকীয় পরিবারের চোখে যেন একটি সমাজ ও সময়ের সম্পূর্ণ প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে এ উপন্যাসে। এ ধরনের ধ্যান-ধারণার উপন্যাসই এই সাহিত্যকর্মকে সেরা সাহিত্যকর্মের নমুনা হিসেবে উপস্থাপিত করে। উপন্যাসটি সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয় ১৮৬৯ সালে। এর আগে উপন্যাসটির বিভিন্ন অংশ ও প্লট আলোচিত হয়ে আসছিল। বই আকারে প্রকাশ হওয়ার পর সম্পূর্ণ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় বইটি। ২০০৯ নিউজ উইয়র্ক ম্যাগাজিন বিশ্বের সেরা ১০০ বইয়ের তালিকায় প্রথম ছিল এটি। ২০০৩ সালে বিবিসির জরিপেও এটি ওঠে এসেছিল।
বই : ওয়ার অ্যান্ড পিস
লেখক : লিও টলস্টয়
ভাষা : রাশিয়ান, ফ্রেঞ্চ
ধরন : উপন্যাস-রোমান্স
প্রকাশক : দ্য রাশিয়ান ম্যাসেঞ্জার
প্রকাশকাল : ১৮৬৯
৪ – ললিতা
ইংরেজি ভাষায় লেখা ললিতা। ভ্লাদিমিরকে ট্র্যাজিক কমেডি রচয়িতা হিসেবে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয় বিশ্বকে। ১৯৫৫ সালে প্যারিসে এবং ১৯৫৮ সালে নিউইয়র্কে ললিতা উপন্যাসটি আলোচনার ঝড় তুলে। রাশিয়ান ভাষায় বইটি অনুদৃত হওয়ার পর এটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আর কোনো বই এত জনপ্রিয়তা পায়নি। তখন সবার মুখে মুখে ললিতা বইটি ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
বইটির একটি বিশেষসত্ব অন্যসব উপন্যাসের সঙ্গে পার্থক্য সৃষ্টি করে দেয়। একদম শুরুর দিকেই উপন্যাসের যে ধীরগতির রেস থাকে সেটা ছিল না এই উপন্যাসে। ললিতা নামটি বিংশ শতাব্দীতেও
এতটুকু আকর্ষণ হারায়নি। বেশ দ্বিধাগ্রস্ত একটি প্রেমের ঘটনার উপস্থাপন এই উপন্যাসটিকে যৌনাবেদননির্ভর উপন্যাসের ক্লাসিক সাহিত্যকর্ম। ১২ বছরের মেয়ের সঙ্গে একজন মধ্য বয়স্ক সাহিত্য-শিক্ষকের প্রেমের কাহিনী নিয়ে উপন্যাসটির মূল প্লট সাজানো হয়েছে।
বই : ললিতা
লেখক : ভ্লাদিমির নাবকোভ
ভাষা : ইংরেজি
ধরন : ট্র্যাজিক কমেডি, উপন্যাস
প্রকাশকাল : ১৯৫৫
৫ – দ্য অ্যাডভেঞ্জারস অব হাকলেবেরি ফিন
একটি পুরো সমাজব্যবস্থার ত্রুটিগুলোকে সুন্দর উপস্থাপনের পাশাপাশি কীভাবে সেসব কাটিয়ে উঠা সম্ভব তার চমৎকার বর্ণনা এই উপন্যাসটিকে কালজয়ী করেছে। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ইংল্যান্ডে। এক বছর পরই যুক্তরাষ্ট্রে এটি প্রকাশিত হওয়ার পর জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। উপন্যাসটিকে ‘দ্য গ্রেট আমেরিকার নোবেল’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মিসিসিপি নদীতে অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে যেসব মজার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে উপন্যাসটি এগোতে থাকে সেটা শীঘ্রই রাজনৈতিক-স্যাটায়ারে রূপ নেয়। আর এভাবেই উপন্যাসটি নতুন মাত্রা যোগ করে। ওয়েবস্টার অ্যান্ড কোম্পানি এ বইটির প্রকাশনা করে রীতিমতো ঝড় তুলে সারা বিশ্বে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাহিত্য সমালোচক এই উপন্যাসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বিংশ শতাব্দীতে এসেও এখনো পলিটিক্যাল স্যাটায়ার উপন্যাসের কথা উঠলেই এই উপন্যাসের কথা আলাদাভাবে বলতে হয়। মার্ক টোয়াইনের এই উপন্যাস তাকে কালজয়ী সাহিত্যিক হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। এখনো তার সে উপন্যাসের নিয়মিত সংস্করণ প্রকাশ হয়। পাঠকদের কাছে এই উপন্যাসের চাহিদা এতকাল পরও এতটুকু পড়েনি।
বই : দ্য অ্যাডভেঞ্জারস অব হাকলেবেরি ফিন
লেখক : মার্ক টোয়াইন
ভাষা : ইংরেজি
ধরন : উপন্যাস-স্যাটায়ার
প্রকাশকাল : ১৮৮৪
৬ – হ্যামলেট
ট্র্যাজেডি কিং হ্যামলেটের করুণ পরিণতি নিয়ে নাটক হ্যামলেট। এ যাবৎকালের সেরা ট্র্যাজেডি নাটক হিসেবে প্রশংসিত এটি। উইলিয়াম শেকসপিয়ারের প্রতিটি সাহিত্যকর্মই সেরা সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচিত। তবে শেকসপিয়ারের সেরা কাজ কোনটি সেটা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাহিত্য সমালোচকরা হ্যামলেটকেই এগিয়ে রাখেন। হ্যামলেট শেকসপিয়ারের সবচেয়ে দীর্ঘতম নাটক। সারা বিশ্বেই নিয়মিত মঞ্চায়ন হয় এই ট্র্যাজেডি নাটকটি। নাটকীয়ভাবে একজন অসম্ভব ক্ষমতাবান সম্রাটের প্রতিশোধ নেওয়া এবং মৃত্যুর মাধ্যমে এর করুণ পরিণতি এই ট্র্যাজেডিকে বিশেষ মাত্রা যোগ করে। এ নাটকের প্রকাশকাল নিয়ে বেশ দ্বিধা রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, এটি ১৫শ শতকের একেবারে শেষ দিকে অথবা ১৬শ শতকের একেবারে শুরুর দিকে রচিত হয়ে থাকতে পারে। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এটি ১৬০২ সালে রচিত হয়েছিল। সে যাই হোক ইংরেজি ভাষায় হ্যামলেটের সমকক্ষ কোনো নাটক নেই। আর যদি ট্র্যাজেডি নাটকের কথা উঠে তবে হ্যামলেটই সেরা।
বই : হ্যামলেট
লেখক : উইলিয়াম শেকসপিয়ার
ভাষা : ইংরেজি
ধরন : ট্র্যাজেডি-নাটক
৭ – দ্য গ্রেট গ্যাটসবে
আমেরিকান লেখকদের মধ্যে ফিকশন রাইটারদের রাজত্বে স্কট ফিটজজেরাল্ডের আধিপত্য বিস্তার হয় দ্য গ্রেট গ্যাটসবে উপন্যাসটি প্রকাশ হওয়ার পর। ১৯২৫ সালে যখন এই উপন্যাসটি প্রকাশ হয় চরিত্র সৃষ্টির দিক থেকে সবাইকে চমকে দেন এই উপন্যাসিক। মিলিয়নিয়ার ব্যক্তিত্ব গেটসবে জীবনীর অনেক রহস্যময় দিক এই উপন্যাসে উঠে আসে। একজন তরুণ মিলিয়নিয়ার প্রেমিকাকে ঘিরে নতুনভাবে জীবন গড়ে তোলার গল্প এই উপন্যাসের প্রধান আকর্ষণ। উপন্যাসটিতে শুধু সম্পদশালী ব্যক্তির চিত্র উঠলেই ফিটজেরাল্ডের নিজস্ব দর্শন ও দৃষ্টিভিঙ্গ চমৎকার উপস্থাপন ছিল এই উপন্যাসে। এই উপন্যাসটির রচনার পেছনে দারুণ একটি ঘটনা রয়েছে। ১৯২৩ সালে তিনি এই উপন্যাসটি লেখার কথা ভাবেন। এক বিশাল দ্বীপে নির্জন প্রান্তরে যখন তিনি হাঁটছিলেন তখনই নতুন কিছু লেখার, ভাবার এবং সুন্দর জীবনের একটি স্বপ্ন পরবর্তীতে এই উপন্যাসে জায়গা করে নেয়। সম্প্রতি এই উপন্যাসকে ভিত্তি করে হলিউডে একটি মুভি তৈরি হয়েছে।
বই : দ্য গ্রেট গ্যাটসবে লেখক : স্কট ফিটজেরাল্ড
ভাষা : ইংরেজি
ধরন : উপন্যাস ফিকশন
প্রকাশকাল : ১৯২৫
৮ – ইন সার্চ অব লস্ট টাইম
ইন সার্চ অব লস্ট টাইম একটি উপন্যাস হলেও মোট সাতটি খণ্ড রয়েছে এতে। মার্সেল প্রস্টের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম ছিল এটি। শুধু আকারের দিক থেকেই দীর্ঘতম উপন্যাস হিসেবে নয়, এর প্লটটিও জনপ্রিয় উপন্যাস হতে একে সাহায্য করেছিল। এর প্রতিটি অধ্যায় পর্বভিত্তিক অংশগুলো অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইংরেজিতে এটি জনপ্রিয়তার পেছনে দুজন অনুবাদকের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। স্কট মনক্রিপ এবং টেরেন্স কিল মার্টিন এই উপন্যাসটিকে সারা দুনিয়ার সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। এরপরই উপন্যাসটি সারা বিশ্বে তুমুল আলোচনার ঝড় তুলে। ১৯০৯ সালের সামাজিক প্রতিচ্ছবি দিয়ে উপন্যাসটি শুরু হয়। তার পুরো উপন্যাসটি বিভিন্ন সময়ের ছোট ছোট চিত্রগুলো যেমন তুলে এনেছে তেমনি বড় পরিসরে দেখিয়েছে। সাত খণ্ডের এই উপন্যাসের শেষ তিন অংশ সময়কে অতিক্রম করে ও পেছনে চলে আসা যে আকাঙ্ক্ষা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেটা অনবদ্য।
বই : ইন সার্চ অব লস্ট টাইম
লেখক : মার্সেল প্রস্ট
ভাষা : ফ্রেঞ্চ
ধরন : উপন্যাস, মডার্নিস্ট
প্রকাশকাল : ১৯১৩-১৯২৭
৯ – দ্য স্টোরিস অব অ্যান্টন চেকোভ
অ্যান্টন চেকোভের ছোটগল্পগুলোর সংকলন নিয়ে দ্য স্টোরিস অব অ্যান্টন চেকোভ বইটি। প্রকাশের পর থেকেই এ বইয়ের প্রতিটি গল্পই পাঠকদের কাছে এখনো আলোচিত। চেকোভের লেখালেখির শুরু হয়েছিল ছোটবেলা থেকেই। দরিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলতে হয়েছে বলে জীবন নিয়ে বৈচিত্র্যময় সব অভিজ্ঞতা তার লেখনীতে অসাধারণভাবে প্রতিফলিত হয়। তার লেখা প্রতিটি গল্পই পাঠকদের কাছে বিশেষ কিছু। তার সাহিত্যিক জীবনে বিচ্ছিন্নভাবে লেখা গল্পগুলো যতটা জনপ্রিয় ছিল তার চেয়েও বেশি জনপ্রিয়তা পায় সংকলন আকারে প্রকাশের পর। তবে তার সাহিত্যকর্মের আসল মূল্যায়ন হয় ইউক্রেনে ছোট ট্রিপের পর। ছোটগল্প লিখেও যে বড় বড় সাহিত্যিকদের কাতারে নাম লেখানো যায় সেটাই করে দেখিয়েছিলেন এই রাশিয়ান লেখক। তার দ্য ক্রস, অ্যাডভাইস, এ ল ইয়ার রোমান্স, অন দ্য ট্রেইন এসব সব সাহিত্যকর্ম তাকে অমর করে রেখেছে। ছোটগল্পের কথা উঠলেই তাই চেকোভের বই পাঠকদের কাছে প্রথম পছন্দ। তার পাঠক বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। নিয়মিত বইয়ের সংস্করণ বের করা বইগুলোর তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে দ্য স্টোরিস অব অ্যান্টন চেকোভ।
বই : দ্য স্টোরিস অব অ্যান্টন চেকোভ
লেখক : অ্যান্টন চেকোভ
ভাষা : রাশিয়ান
ধরন : ছোটগল্প সংকলন
১০-মিডলমার্চ
ইংরেজি ফিকশন লেখাগুলোর মধ্যে জর্জ ইলিয়টের মিডলমার্চ। এটির অসম্ভব জনপ্রিয়তার পেছনে ছিল এ ধরন। ১৮৭৪ সালে এটির প্রথম অংশ সম্পূর্ণ প্রকাশ হয়েছিল এবং তারপরই ব্যাপকভাবে পাঠকপ্রিয়তা পায় এ বইটি। ইলিয়টের সপ্তম উপন্যাস হিসেবে এটি বেশ ঘটনাবহুল একটি উপন্যাস। এ উপন্যাসের গল্পের আড়াল থেকেও সমাজকে কটাক্ষ করে তার ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরিয়ে দেওয়ার অসামান্য গুণের জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বইগুলোর মধ্যে আজো বিশেষভাবে বিবেচিত হয় মিডলমার্চ। উপন্যাসের পরতে পরতে যেমন গুরুগম্ভীরভাব রয়েছে, তেমনি হাস্যরসের ছোট ছোট উপাদানও পাঠকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে। মিস্টার ব্রুক, মিস নোবেল এই চরিত্রগুলোর কথা নিশ্চয় কেউ ভুলবে না কোনো দিন। তাই বইটিকে হিসাবের বাইরে রাখতে পারেনি টাইম ম্যাগাজিন।
বই : মিডলমার্চ
লেখক : জর্জ ইলিয়ট
ভাষা : ইংরেজি
ধরন : উপন্যাস, ফিকশন

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button