ইসলামী ছাত্র সংগঠন নেতৃবৃন্দের সম্মানে তালামীযে ইসলামিয়ার ইফতার মাহফিল

Talamizউপমহাদেশের প্রখ্যাত বুযুর্গ, শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর হাতেগড়া সংগঠন বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে ইসলামী ছাত্র সংগঠন নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তারা বলেন, বর্তমান মহাজোট সরকার এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতার সাথে করা ওয়াদা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। সিংহভাগ মুসলমানের এদেশে আলেম-উলামা, পীর মাশায়েখ ও ইসলামপ্রিয় জনতার প্রাণের দাবী স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি প্রদানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকারের ভূমিকা দুঃখজনক। গত কয়েক দশক ধরে ইসলামী শিক্ষাদরদী জনগণ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন লালন করে আসছেন তা মন্ত্রীপরিষদের একাধিক সভায় অনুমোদিত হওয়া সত্ত্বেও এখনও তা বাস্তবায়ন না হওয়া, কওমী মাদরাসা শিক্ষা কমিশন গঠন করার পরও কওমী সনদের স্বীকৃতি না দেওয়ার পরিণাম সরকারের জন্য শুভ হবে না। এ্যাফিলিয়েটিং ক্ষমতাসম্পন্ন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ ও ইসলামী সংগঠন নেতৃবৃন্দ দীর্ঘ দিন থেকে আন্দোলন করে আসছেন। এর ধারাবাহিকতায় হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর নেতৃত্বে¡ ২০০৬ সালে সিলেট থেকে ঢাকা অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর সংগঠন তালামীযে ইসলামিয়া শুরু থেকেই এ আন্দোলনে সক্রিয় ছিল।
দেশের সমমনা ইসলামী ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে “সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য” গঠন করে আন্দোলনকে জোরদার করেছিল। সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব রাসূলে আকরাম (সা.)-এর শানে কটূক্তিকারী নাস্তিক-ব্লগারদের প্রশ্রয় দিয়ে সরকার
মুমিন মুসলমানদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, যে দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বললে সাত বছরের জেল হয় সেখানে মহানবী (সা.) এর অবমাননাকারীদের কোন শাস্তির আওতায় নিয়ে না আসায় দেশের আপামর জনসাধারন হতাশ ও ক্ষ্ব্ধু হয়েছে। তারা অবিলম্বে মহানবী (সা.) এর অবমাননাকারী ও ইসলামবিদ্বেষী সকল শক্তির দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তির দাবী জানান। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নজীর আহমদ হেলালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল
আহমদ-এর পরিচালনায় গতকাল (১৯ রামাদ্বান, ২৯.০৭.২০১৩ সোমবার) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত
ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা ওয়ালি উল্লাহ, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান আহমদ, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের সভাপতি আনছারুল হক ইমরান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সিনিয়র সহ সভাপতি ইমরানুল বারী সিরাজী, ঈশা ছাত্র আন্দোলনের সহসভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফিজ মো. শাহজালাল, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ছাত্র মুসলিম লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহীনুর রহমান শাহিন, লেবার পার্টি ছাত্র ফোরামের আহবায়ক কামরুল ইসলাম সুরুজ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শক্তির আহবায়ক মোঃ কাওছারুজ্জামান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সোহাইল আহমদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে যুব হিযবুল্লাহ’র কেন্দ্রীয় সহ দফতর সম্পাদক মাওলানা মু. শামসুল আলম ,তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান, অফিস সম্পাদক মোস্তাফা হাসান চৌধুরী গিলমান, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসাইন, লেবার পার্টি ছাত্র ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন রাসেল , ঈশা ছাত্র আন্দোলনে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মু. আবদুর রহমান গিলমান,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মুহা. আজীজুল হক, দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন, নোমান আহমদ, মাসুম আহমদ, রেদ্বওয়ান আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মামুন আহমদ, ফারুক আহমদ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে নজীর আহমদ হেলাল বলেন, ইসলাম চির সুন্দর ও কল্যাণের ধর্ম। ইসলাম মানুষকে আদর্শবান করে তোলে, মানবিকতা শিখায়। এতে জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই।
ইসলামের নামে যারা সন্ত্রাস করে, নিরপরাধ মানুষের রগ কাটে তারা ইসলামের মৌলিক আদর্শের বিরোধী। এর দায় ইসলামের উপর বর্তায় না। জঙ্গীবাদকে ইস্যু করে ইসলামী আদর্শ বিশ্বাসকে কটাক্ষ করা ও নিরীহ মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালানোও অন্যায়। ৯০ ভাগ মুসলমানের এই দেশে ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সমমনা ইসলামী সংগঠনগুলোর
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই। আর এ ক্ষেত্রে ছাত্র সংগঠনগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button