স্প্রিং বাজেট প্রতিক্রিয়া
সরকারের অব্যাহত ব্যয় সংকোচন নীতি ফ্রন্ট লাইন সার্ভিসের জন্য মারাত্মক হুমকী: মেয়র জন বিগস
চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত টোরী সরকারের স্প্রিং বাজেটকে টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দাদের জন্য ধারাবাহিক দু:সংবাদেরই অংশ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন নির্বাহী মেয়র জন বিগস।
তিনি বলেছেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর অর্থাৎ গত ৮ বছর ধরে পাবলিক সেক্টরে ব্যয় সংকোচনের যে নীতি নেয়া হয়েছে এবারের স্প্রিং বাজেটে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে। সরকারের এই অব্যাহত ব্যয় সংকোচন নীতি আমাদের ফ্রন্ট লাইন সার্ভিসের জন্য মারাত্মক হুমকী এবং এটি বন্ধ হওয়া উচিৎ।
মেয়র বলেন, চ্যান্সেলরের সামনে গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস যেমন স্যোশাল কেয়ার, চিলন্ড্রেন সার্ভিস, স্কুল এবং অন্যান্য ফ্রন্ট লাইন সার্ভিসে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিলো। কিন্তু চ্যান্সেলরের নিরবতা আমাদেরকে কাউন্সিল বাজেট কাট থেকে রেহাই দিলো না।
জন বিগস আরো বলেন, কাউন্সিল সমাজের ভঙ্গুর জনগোষ্ঠিকে যেসব সার্ভিস দিয়ে থাকে তা কনজারভেটিব সরকার উপলব্দি করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এই ব্যর্থতার একটি মারাত্মক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল তার বাসিন্দাদের এই টোরী কাট থেকে বাঁচার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। চ্যান্সেলরের স্প্রিং বাজেট প্রমাণ করলো সহসাই তাদের আচরনে কোন পরিবর্তন আসছে না।
এদেশের স্থানীয় সরকারগুলোতে ২০২০ সালের মধ্যে ৫.৮ বিলিয়ন পাউন্ড ফান্ডিং গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে। লোকাল গর্ভনমেন্ট এসোসিয়েশন এর মতে ২০২০ সালের মধ্যে চিলন্ড্রেন সার্ভিসে বাজেট গ্যাপ হবে প্রায় ২ বিলিয়ন পাউন্ড। এমনকি কনজারভেটিব নিয়ন্ত্রিত কাউন্সিল নর্থাহ্যামটনশায়ার কাউন্টি কাউন্সিল সরকারের ক্রমাগত বাজেট কাটের ধাক্কা সামলে উঠতে না পেরে সেকশন ১১৪ নোটিশ ইস্যু করেছে। গত ২০ বছরের মধ্যে এটা এদেশে এই প্রথম।
কেবিনেট মেম্বার ফর রিসোর্সেস কাউন্সিলার ডেভিড এডগার বলেন, টোরীদের বাজেট কাটের কারনে টাওয়ার হ্যামলেটসকে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটস ১৩৮ মিলিয়ন পাউন্ড হারিয়েছে এবং ২০১৭/১৮ এবং ২০১৯/২০ সালের মধ্যে আরো ৫৮ মিলিয়ন বাজেট কাট করতে হচ্ছে। তারপরও আমরা ফ্রন্ট লাইন সার্ভিসকে রক্ষা করেছি এবং বাসিন্দাদের সাপোর্টের জন্য পোভার্টি ফান্ড এবং ফ্রি স্কুল মিল চালু রেখেছি। এছাড়া আমাদের লাইব্রেরী, লেইজার সেন্টার এবং চিলন্ড্রেন সেন্টারগুলো খোলা রয়েছে। যে ক্ষতি ইতিমধ্যে হয়ে গেছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের জন্য সরকারের সাপোর্ট খুবই দরকারী।