বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটিতে ছিলেন রাগীব-রাবেয়ার ১৩ শিক্ষার্থী

ragibনেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে মোট ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে পূর্ণ বয়স্ক ৬৫, পুরুষ ৩৭, নারী ২৮ এবং দুইজন শিশু ছিলেন। দুই শিশুসহ অন্তত ৩৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন। এরমধ্যে যাত্রী ছিলেন ৩১ জন। আর এই উড়োজাহাজে ছিলেন সিলেটের বেসরকারি রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ নেপালি শিক্ষার্থীও।
গত রবিবার এমবিবিএস ১৯তম ব্যাচের ফাইনাল প্রুফ পরীক্ষা দিয়ে দুইমাসের ছুটিতে তারা সবাই এই উড়োজাহাজে নেপালে নিজের পরিবারের কাছে ফিরছিলেন। ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১১ জন মেয়ে ও দুইজন ছেলে বলে জানা গেছে।
সোমবার বিকালে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এতথ্য নিশ্চিত করলেও এই শিক্ষার্থীদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত কোন তথ্য দিতে পারেনি।
বাংলাদেশি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অবস্থা নিয়ে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
রাগীব-রাবেয়া মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে যাত্রী হিসেবে ছিলেন- সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্নিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আবেদ হোসেন বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে আমাদের কিছু শিক্ষার্থী ছিলো বলে শুনেছি। তবে কতজন ছিলো তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। নেপালে অবস্থানরত আমাদের সাবেক একজন ছাত্রের মাধ্যমে পুরো বিষয় জানার চেষ্টা করছি।
ডা. আবেদ হোসেন বলেন, শেষ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশের জন্য দুই মাসের মতো সময় লাগে। এই সময়ে সকলেই নিজেদের বাড়িতে চলে যায়। নেপালের এই শিক্ষার্থীরাও তাদের দেশে যাচ্ছিলো।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাড়াও নগরীর বেসরকারি অন্য পাঁচটি মেডিকেল কলেজে কয়েক শ’ নেপালি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button