সিলেটে এক বছরে পাথর কোয়ারিতে নিহত ৫২

sylhetসিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে গত এক বছরে কমপক্ষে ৫২ জন পাথর শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে তাদের অনেকেই এখন কর্মক্ষমহীন।
শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সদস্য সচিব সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, পাথর শ্রমিকদের মাটিচাপায় মৃতের এই হার উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন তারা।
কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ কোয়ারির কালাইরাগ এলাকায় গর্ত ধসে নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার কলক্তা গ্রামে রইছ উদ্দিনের ছেলে মইন উদ্দিন (৩০), দক্ষিণ সুনামগঞ্জের মুরাদপুর গ্রামের হযরত আলীর পুত্র মতিবুর রহমান (৩২), একই গ্রামের আসকর আলীর পুত্র রুহুল আমিন (২২) ও ছলেরবন্দ গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র আশিক আলী (৩০) এবং ফিরোজ আলী (৪৫)।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরফিন টিলায় পাথরের গর্ত ধসে নিহত হন তিন শ্রমিক। তারা হলেন কাছা মিয়া (৪৫), সুনামগঞ্জের জহির হোসেন (৩৬) এবং আফাজ উদ্দিন (৩৫)। আহত হন কমপক্ষে চারজন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল লাইছ বলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় ভোলাগঞ্জ কোয়ারির কালাইরাগ ও শাহ্ আরফিন পাথর কোয়ারি ধসে নিহতের এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদের পাথর উত্তোলন থেকে বিরত থাকার জন্য প্রায় মাইকিং করা হয়।
তিনি বলেন, গর্ত ধসের ঘটনায় গর্তের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এদিন সকাল ১১টায় মানববন্ধন এবং ১২টায় কারওয়ান বাজারে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবে সংগঠনটি।
মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, নইমুল আহসান জুয়েলসহ জাতীয়ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক অধিকার, মানবাধিকার সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button