কথাসাহিত্যিক শওকত আলী আর নেই

showkatকথাসাহিত্যিক শওকত আলী আর নেই।  আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেন তিনি। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকার টিকাটুলি জামে মসজিদে বাদ জোহর শওকত আলীর প্রথম জানাজা হবে। এরপর বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে মরদেহ রাখা হবে।
শওকত আলীর ছেলে আসিফ সৈকত কল্লোল বলেন, এই কথাসাহিত্যিকের মরদেহ এখন তাঁর পুরান ঢাকার বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে দুপুরের পর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হবে। পরে আজই তাঁকে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ফুসফুসের সংক্রমণ, কিডনি জটিলতা ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে গত ৪ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শওকত আলী। পরে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাঁকে নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এবং পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
বাংলা কথাসাহিত্যে শওকত আলী এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। ১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তার জন্ম। পারিবারিকভাবেই রাজনীতি-সচেতন ও সংস্কৃতিমনা পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই সংস্পর্শে এসেছেন বইয়ের।
শওকত আলীর লেখা পাঠকনন্দিত উপন্যাসের তালিকায় রয়েছে ‘যাত্রা’, ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’, ‘দক্ষিণায়নের দিন’, ‘উত্তরের খেপ’ প্রভৃতি। এর মধ্যে ‘উত্তরের খেপ’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
সাহিত্য চর্চার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৬ সালে ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার পান শওকত আলী। ১৯৫৮ সালে এমএ পাস করে দিনাজপুরের একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৫৯ সালের শেষের দিকে ঠাকুরগাঁও কলেজে বাংলার শিক্ষক হন গুণী মানুষটি।
১৯৬২-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজে লেকচারার হিসেবে চাকরি করেন শওকত আলী। ১৯৮৮ সালে জেলা গেজেটিয়ারের ঢাকার হেড অফিসে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৯ সালে সরকারি সঙ্গীত কলেজের প্রিন্সিপাল করা হয় তাকে। এখান থেকে ১৯৯৩ সালে অবসরে যান তিনি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button