পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত সুন্দরবন

Binoইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের করমজলসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় এলাকা। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনায় পুরো সুন্দরবনে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভিন্নমাত্রার উৎসব উদযাপনে পর্যটকরা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে সুন্দরবনে আসতে শুরু করে। বনের বিভিন্ন স্পটে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। আর এই ভিড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসনসহ বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) হাওলাদার আজাদ কবির জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের জন্য দেশী-বিদেশী পর্যটকরা করমজল পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্পটে ছুটে আসে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে সুন্দরবনের দর্শণীয় স্থানগুলোতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বনের হাড়বাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, কটকা, কচিখালী, দুবলাচরসহ বিভিন্ন স্পটে এখন প্রচুর দর্শনার্থী অবস্থান করছেন। তিনি আরও জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে স্বল্পসংখ্যক বন কর্মচারী দিয়ে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। এরপরও পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিরলস কাজ করছেন বনপ্রহরী, পুলিশ, কোস্টগার্ড। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সুন্দরবন ভ্রমণে আসা পর্যটকরা সাধারণত মংলা হয়েই বনে প্রবেশ করে থাকেন। আর মংলা থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি দর্শনীয় স্থান হলো সুন্দরবনের করমজল। যারা অধিক ব্যয়ে বনের গহীনে যেতে পারেন না তারা স্বল্প খরচেই করমজল ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া বনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা, পশু-পাখি, বন্যপ্রাণী দেখে দর্শণার্থীরা তৃপ্তি মিটিয়ে থাকেন।
মংলার পর্যটন ব্যবসায়ী গোলাম রহমান বিটু বলেন, ‘শীত মওসুমে এমনিতেই পর্যটকদের ভিড় একটু বেশি থাকে। তারপরও থার্টি ফার্স্ট নাইট ও নতুন ইংরেজি বছরকে স্বাগত জানাতে বর্তমানে পর্যটকদের আগমন খুব বেশি। এতে আমাদের আয়ও বেশি হচ্ছে। আমরা চাই সারা বছরই যেন এই অবস্থা বিরাজ করে।’
মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, সুন্দরবনে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি যে কোনও ধরনের নাশকতা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button