‘ভরহীন কণা’ আবিষ্কারে নেতৃত্ব দিলেন বাংলাদেশী পদার্থবিদ

JahidHasanযুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশী এক পদার্থবিদ মোহাম্মদ জাহিদ হাসান অসামান্য এক সাফল্যাগাথা রচনা করেছেন। তার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল ‘ভরহীন কণা’ আবিষ্কার করে সারা বিশ্বে অভাবনীয় সাড়া ফেলে দিয়েছে। ৮৫ বছর আগের তত্ত্বকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে গবেষক দলটি। ভরহীন কণাটি পরবর্তী-প্রজন্মের দ্রুততম ও আরও কার্যকর ইলেক্ট্রনিক বা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন তিনি ও তার দলের গবেষকরা। সে ধরনের ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ যুগেও কল্পনা করা যায় না বলে মন্তব্য করেন জাহিদ। কারণ, ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মধ্যে কণাটির বস্তু ও প্রতিবস্তু উভয়ের আচরণ করার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। জাহিদ হাসান প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক। গত ১৬ই জুলাই ‘ডিসকভারি অব ওয়েইল  ফার্মিওন্স অ্যান্ট টপোলজিকল ফার্মি আর্কস’ শীর্ষক গবেষণাপত্রটি অনলাইনে প্রকাশিত হয়। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে গবেষণাপত্রটির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
রহমত আলী ও নাদিরা বেগমের দুই পুত্র এবং এক কন্যা। তাদের বড় ছেলে জাহিদ হাসানের অবিস্মরণীয় এ সাফল্য দেশকে এনে দিয়েছে বিরল গৌরব। তার পিতা পেশায় আইনজীবী এবং মা গৃহিণী। ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন জাহিদ। ফলাফলেও ছিল তার অসামান্য সাফল্য এবং তিনি মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে পড়াশোনা করেন এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়ালেখা শেষ করে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন জাহিদ হাসান। বর্তমানে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং ‘কোয়ান্টাম কনডেন্সড ম্যাটার ফিজিক্স’-এ তার রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। ১৯২৯ সালে একাধারে গণিতবিদ ও পদার্থবিদ হারম্যান ওয়েইল ভরহীন কণা সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন। তার সেই তত্ত্বকেই বাস্তবে রূপ দিলেন পদার্থবিদ জাহিদ ও তার নেতৃত্বাধীন গবেষক দলের সদস্যরা। –মানবজমিন

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button