যুক্তরাষ্ট্রের ২৩৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

usa independence dayবর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে ২৩৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করলো বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ছিল দৃষ্টিনন্দন আতশবাজি। রাতের আঁধার শুরু হওয়ার সাথে সাথে আতশবাজির বাহারী আলোকছটায় ঝলমল হয়ে উঠে দেশটির আকাশ। অন্যান্য স্থানের ন্যায় নিউইয়র্কে আতশবাজি উপভোগ করতে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মার্কিন নাগরিকরা আয়োজন করেন স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ। তবে পূর্ব উপকূলের সমুদ্র সৈকতে হামলা এবং পশ্চিমের দাবানল এই নিরাপত্তার শঙ্কা আরো বৃদ্ধি করেছে।
সামপ্রতি ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হুমকি বিবেচনা করে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে। নিউইয়র্ক গভর্নর অ্যান্ড্রিউ কুওমো অঙ্গরাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্ক শহরে প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে যারা সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের।
ওয়াশিংটনের প্যারেড, কনসার্ট এবং আতশবাজির খেলায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। ন্যাশনাল পার্ক প্রায় সাড়ে ৩ মাইল জুড়ে চেইন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। এ ছাড়া ১৪শ হাজার ফুটের বাইকেল ঝুলিয়ে রাখার তাক তৈরি করা হয়েছিল।
এ ছাড়া নাগরিকদের সুবিধার্থে সাড়ে ৩শ টয়লেট তৈরি করা হয়। গত শুক্রবার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ছোট বড় শহরগুলো চলে ব্যাপক হারে আতশবাজি। এসব আতশবাজি দেখতে লাখ লাখ মানুষ মিলিত হয়েছিলেন স্কুল ও কলেজের মাঠগুলোতে।
প্রসঙ্গত, গ্রেট ব্রিটেনের অধীনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ টি উপনিবেশ মুক্ত হয় ১৭৭৬ সালের ২ জুলাই। এরপর ৪ জুলাই চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয়। দিনটি আরো নানা দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। দেশটির স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে একমাত্র স্বাক্ষরকারী দুজন জন এডামস ও থমাস জেফারসন একইদিন অর্থাৎ ১৮২৬ সালের ৪ জুলাই মারা যান। ওই বছর ছিল স্বাধীনতার ৫০ বছর। এ ছাড়া অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জনক জেমস মনরো, যিনি পরবর্তীতে দেশটির প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তিনিও মারা যান ১৮৩১ সালের ৪ জুলাই।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button