ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস

এবনে গোলাম সামাদ
ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই অনেক কিছু লিখেছেন, যার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে বলে মনে হচ্ছে না। আমি এ সম্পর্কে কিছু বলতে চাচ্ছি প্রধানত আমার ব্যক্তিজ্ঞান থেকে। যখন ভাষা আন্দোলন হয় তখন আমি ছিলাম ছাত্র। এই আন্দোলনে অনেক কিছুই ঘটেছিল আমার চোখের সামনে। তাই এই প্রসঙ্গে করছি কিছু আলোচনা। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনার জন্য যা কিছুটা সহায়ক হতেও পারে। রাজশাহীতে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন খুব জোরালোভাবে হতে পেরেছিল। আন্দোলন জোরালোভাবে হতে পেরেছিল, রাজশাহী সরকারি কলেজকে নির্ভর করে। ১৯৪৮ সাল থেকেই রাজশাহীতে শুরু হয় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। এই আন্দোলনে তিনজন অধ্যাপক ছাত্রদের উৎসাহিত করেছিলেন। এরা হলেন ড. এনামুল হক, ড. শেখ গোলাম মাকসুদ হিলালী ও মুহম্মদ আবদুল হাই। ড. এনামুল হক বিশেষভাবে খ্যাত ছিলেন তার আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে বিখ্যাত গবেষণার জন্য। ড. শেখ গোলাম মাকসুদ হিলালী বিদ্বৎসমাজে খ্যাত ছিলেন Perso-Arabic Elements in Bengali নামক গবেষণামূলক সন্দর্ভের জন্য। মুহম্মদ আবদুল হাই সাহেব ছিলেন একজন সফল শিক্ষক। তিনি রাজশাহী কলেজে অধ্যাপনা করার সময় অনুবাদ করেন মানবেন্দ্রনাথ রায় প্রণীত The Historical Role of Islam  নামক গ্রন্থ যার একটা প্রভাব পড়ে অনেক ছাত্রের ওপর। মুহম্মদ আবদুল হাই পরবর্তীকালে বাংলাভাষার ধ্বনিতত্ত্বের ওপর গবেষণামূলক বই লিখে পেয়েছিলেন বিশেষ খ্যাতি। আমি এ সময় ছিলাম রাজশাহী কলেজের ছাত্র। আজ যেমন বলা হচ্ছে, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন হলো স্বাধীন বাংলাদেশ গড়বার সূচনা। সেটি আমার কাছে ঐতিহাসিক সত্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারছে না। কেননা সেই সময় এই তিনজন অধ্যাপকের কেউ-ই চাননি পৃথক স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে। তারা কেবল চেয়েছিলেন, সাবেক পাকিস্তান রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা হবে দু’টি। একটি উর্দু ও অপরটি হতে হবে বাংলা। এর বেশি কিছু তাদের কাম্য ছিল না। এরা রাজনীতির লোক ছিলেন না। এদের চর্চার বিষয় ছিল ভাষা সংস্কৃতি। এরা বাংলাভাষার পক্ষ নিয়েছিলেন বাংলাভাষী হিসেবে; রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়। বাংলাভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিস পালন করেছিল খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। তমদ্দুন মজলিস স্থাপিত হয়েছিল ইসলামপন্থী তরুণদের দ্বারা। এরা চেয়েছিলেন বাংলাভাষার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে; সাবেক পাকিস্তানকে ভেঙে দিতে নয়। এই সংগঠনের একজন বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন আবুল কাশেম। ইনি প্রথমে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। কিন্তু পরে প্রতিষ্ঠা করেন বাঙলা কলেজ এবং হন এর প্রিন্সিপাল। আমি রাজশাহী কলেজ থেকে আইএসসি পাস করবার পর ঢাকায় যাই তেজগাঁও কৃষি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে। লক্ষ্য ছিল একজন কৃষিবিদ হওয়া। এ সময় আবুল কাশেম সাহেবের সাথে আমার কথোপকথনের কিছু সুযোগ ঘটে। তার সাথে কথা বলে আমি এ ধারণাই পাই যে, তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করবার পক্ষে। তিনি কখনোই বলেননি যে, তার রাজনৈতিক লক্ষ্য পৃথক স্বাধীন বাংলাদেশ গড়া। আমি রাজনীতির লোক ছিলাম না। কিন্তু আমার সহোদরেরা রাজনীতি করতেন। তিনি মাঝে মধ্যে লিখতেন তমদ্দুন মজলিসের সাপ্তাহিক পত্রিকা সৈনিকে। আবুল কাশেম সাহেব এসেছিলেন আমার ভগ্নির বাড়িতে। সেখানে সুযোগ হয় তার সাথে কথা বলবার। বাংলাভাষা আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের সাথে কথা বলে আমি যা বুঝেছিলাম, তা হলো-উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করলে উর্দু যাদের মাতৃভাষা কেবল তারাই পেতে পারবেন বড় বড় চাকরি। বাংলাভাষী তরুণেরা কেরানির চাকরি পেলেও উর্দুভাষার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে পেতে পারবেন না বড় বড় সরকারি পদে চাকরি। ভাষা আন্দোলনের একটা অর্থনৈতিক দিক ছিল। তা ছিল চাকরিসংক্রান্ত। আর এ চাকরি হলো পাকিস্তানের সরকারি চাকরি। বাংলাভাষা আন্দোলন হয়েছিল সাবেক পাকিস্তানের রাষ্ট্রিক কাঠামোর মধ্যে। উর্দুকে করার কথা হয়েছিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের একমাত্র সরকারি ভাষা। এটি বাঞ্ছিত ছিল না বাংলাভাষী মুসলমান তরুণসমাজের কাছে। তরুণসমাজ তাই উদ্যোগ নেয় বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করবার। এ হলো বাংলাভাষা আন্দোলনের অর্থনৈতিক ভাষ্য। সাংস্কৃতিক দিক থেকে এর একটা কারণ হলো, যাকে নৃতত্ত্বের ভাষায় বলে সংস্কৃতির সঙ্ঘাত। উর্দুভাষীরা তাদের নিজেদের মনে করতেন বাংলাভাষীদের চেয়ে উন্নত সংস্কৃতির অধিকারী। তাদের এই অহঙ্কার তাদের প্রতি সাধারণভাবে বাংলাভাষী তরুণদের বিরূপ করে তুলেছিল। তারা চাননি উর্দুভাষীদের সাংস্কৃতিক ঔদ্ধত্যকে স্বীকার করে নিতে। বড় চাকরি পাওয়া সম্ভব হবে না এবং উর্দুভাষীরা সংস্কৃতির দিক থেকে আমাদের করবেন নিয়ন্ত্রণ, এটি চাননি বলেই এ দেশের তখনকার শিক্ষিত তরুণসমাজ ব্রতী হয়েছিলেন রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে। আমার মতে, এই হলো রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের বিশেষ ভাষ্য। এ আন্দোলনের লক্ষ্য এখন যেমন বলা হচ্ছে, ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ গড়া, সেই সময় সেটি আদৌ ছিল না বলেই আমার ধারণা। বাংলাদেশের তরুণেরা ইংরেজ আমলে লেখাপড়া করতেন প্রধানত সরকারি চাকরির পাওয়ার জন্য। সরকার ছিল সবচেয়ে বড় চাকরিদাতা। উচ্চপর্যায়ের সরকারি চাকরি পাবেন না বলে বাংলাভাষী শিক্ষিত তরুণেরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং যুক্ত হয়েছিল রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে।
১৯৭৩ সালে একটি বই পড়েছিলাম। বইটির নাম Dateline Mujibnagar। বইটি লিখেছেন Arun Bhattacharja| বইটি প্রকাশিত হয়েছে Vikas Publishing House, Newdelhi থেকে ১৯৭৩ সালে। এতে এক জায়গায় (পৃষ্ঠা ১৯৫) বলা হয়েছে যে, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলেন ভারত সরকার কর্তৃক পাকিস্তানে নিযুক্ত হাইকমিশনার সি সি দেশাই। পাকিস্তানে নিযুক্ত হাইকমিশনার তখন থাকতেন করাচিতে। কারণ করাচি ছিল পাকিস্তানের রাজধানী। ভারতের হাইকমিশনার সি সি দেশাই গোপনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সাথে দেখা করেন এবং বলেন, পূর্ব পাকিস্তান যদি স্বাধীন হতে চায়, তবে সেই প্রচেষ্টায় ভারত সাহায্য-সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে। ভাসানীর সাথে সি সি দেশাইয়ের দেখা হয়েছিল টাঙ্গাইলে আর পি সাহা কর্তৃক মেয়েদের স্কুলের একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। এ তথ্য কত দূর সত্য, তা আমি জানি না। আমি এ রকম কথা আর কোনো সূত্র থেকে পেতে পারিনি। সম্প্রতি খ্যাতনামা ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন বলেছেন, ভাষা আন্দোলনে ভাসানীর ভূমিকা নিয়ে কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না। আমি মনে করি, এ বিষয়ে আবদুল মতিন সাহেবের কিছু নিজে থেকেই মূল্যায়ন করা উচিত। আমি ভাসানী সাহেবের রাজনীতি কখনোই বুঝে উঠতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি একজন ‘না-ধর্মী রাজনীতিবিদ’। যিনি চেয়েছেন সঙ্ঘাত সৃষ্টি করে রাজনীতি করতে; ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ গড়তে নয়। আমার মনে পড়ে, ভাসানী সাহেব ১৯৭০ সালে বলেছিলেন, ভোট করে কিছু হবে না। ভোটের আগে ভাত চাই। কিন্তু ভোট হওয়ার পর সেই তিনিই আবার বললেন, শেখ মুজিব তুমি যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি পরিত্যাগ করো, তবে বাংলাদেশের মানুষ পিটিয়ে তোমার পিঠের চামড়া তুলে নিতে চাইবে।’ আমি খুব বিস্মিত হয়েছিলাম ১৯৭১ সালে ভাসানী সাহেবকে ভারতে হিজরত করতে দেখে। ভারতে তাকে রাখা হয়েছিল গৃহবন্দী করে। তিনি ভারতে গিয়ে কোনো রাজনীতিই করতে পারেননি। ১৯৭৬ সালে মে মাসে তিনি এসেছিলেন রাজশাহীতে; তার বিখ্যাত ফারাক্কার মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। এ সময় তিনি এক ঘরোয়া বৈঠকে বলেছিলেন, তড়িঘড়ি করে পাকিস্তান ভেঙে দেয়া ঠিক হয়নি। ভাসানীর মূল্যায়ন তাই আমার কাছে মনে হয় খুবই জটিল। এখন অনেক বামচিন্তক বলছেন, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন নিয়ে নাকি মূল নেতৃত্ব প্রদান করেছিল সেই সময়ের কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু আমি এর সাথে আদৌ একমত নই, কারণ সেই সময়ের দলিল ও পত্রপত্রিকা ঘেঁটে অবগত হতে পেরেছি যে, পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি ছিল ছাত্রদের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করবার বিরোধী। কারণ তারা মনে করেছিলেন, এটি করা হবে হঠকারিতা। এতে বাড়বে সরকারের দমননীতি, যা প্রতিরোধ করবার ক্ষমতা ছাত্রদের নেই। কিন্তু পুলিশ গুলি চালালে সারা দেশজুড়ে সর্বসাধারণ এসে দাঁড়ায় ছাত্রদের পক্ষে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন হয়ে দাঁড়ায় একটি বড় রকমের গণ-আন্দোলন। এখানে আরো উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সেই সময়ের পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সাজ্জাদ জহির। তিনি ছিলেন উর্দুভাষী। ভারত থেকে তিনি যান করাচি। সাজ্জাদ জহির অভিমত দেন যে, একমাত্র উর্দুকে করা উচিত হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। কেবল জিন্নাহ সাহেব নন, পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকও চেয়েছিলেন উর্দুকে একমাত্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করতে। সাজ্জাদ জহির ছিলেন এই উপমহাদেশের কমিউনিস্টদের একজন খুবই বড়মাপের নেতা। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগেই তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা কমিউনিস্ট নেতা। যারা বলতে চাচ্ছেন ভাষা আন্দোলনে কমিউনিস্টরা নেতৃত্ব দিয়েছিল, তাদের এ কথার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি আমি তাই খুঁজে পাচ্ছি না। যারা এ বিষয়ে জানতে চান, তারা মোহাম্মদ তোয়াহা ও ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকার দু’টি পড়ে দেখতে পারেন। সাক্ষাৎকার দু’টি প্রকাশিত হয়েছিল মাহবুব উল্লাহ সম্পাদিত, ২০০৮ সালে প্রকাশিত মহান একুশে সুবর্ণজয়ন্তী গ্রন্থতে। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্স ঢাকা থেকে। বাংলাভাষা আন্দোলন সম্পর্কে এ রকম তথ্যবহুল গ্রন্থ আর আছে বলে আমার জানা নেই।
ভাষা আন্দোলন তুঙ্গে উঠেছিল ১৯৫২ সালে। এ সময় পূর্ব পাকিস্তানে একটি নির্বাচিত সরকার ছিল যার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমীন। কিন্তু এখন অনেকের লেখা পড়ে মনে হয়, দেশে তখন চলছিল সামরিক জান্তার শাসন। এটি আদৌ সত্য নয়। পাকিস্তানে প্রধান সেনাপতি আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করেছিলেন ১৯৫৮ সালের ২৮ অক্টোবর। কিন্তু আইয়ুব খান রাষ্ট্রভাষা নিয়ে কোনো বিতর্ক তুলতে চাননি। তিনি বহাল রাখেন রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু ও বাংলাকে। আইয়ুব খানের অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন বিখ্যাত কবি ও দার্শনিক ইকবালের ছেলে জাভেদ ইকবাল। তিনি তার The Ideology of Pakistan and Its Implementation (1959) বইতে বলেছেন যে, যদিও একটি রাষ্ট্রের একমাত্র রাষ্ট্রভাষাই হওয়া ভালো, কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রের বাস্তবতাকে বিবেচনা করে দু’টি রাষ্ট্রভাষা মেনে নিতে সম্মত হতে হবে। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে হবে বাংলায় এমএ পর্যন্ত পড়বার ব্যবস্থা (পৃষ্ঠা ৬৯-৭৯)। অর্থাৎ সাবেক পাকিস্তানে রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নটি মীমাংসিত হতে পেরেছিল। সাবেক পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ার কারণ ঘটেছিল পরে; সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন সাবেক পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ার কারণ ছিল না। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এটুকুই বলতে পারি আমি। পত্রিকায় দেখলাম (দৈনিক বর্তমান; ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪) রণেশ মৈত্র বলেছেন, ভাষাসংগ্রামীদের তালিকা-গেজেট ও ভাতার ব্যবস্থা চাই। কিন্তু ভাষা আন্দোলন যারা করেছিলেন, তারা তো এমন দাবি তুলছেন বলে আমি জানি না। ভাষা আন্দোলন যারা করেছিলেন, তারা সেটি করেছিলেন বাংলাকে সাবেক পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করতে; কোনো ভাতা পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নয়।
প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button