ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ফের আদালতের স্থগিতাদেশ

Australian Muslimআট দেশের নাগরিকদের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারিকৃত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। গত মঙ্গলবার এক ফেডারেল বিচারক স্থগিতাদেশ জারি করেন। চলতি সপ্তাহেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা ছিলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই রায়ে আরও একবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ট্রাম্পের নির্বাহী ক্ষমতা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শেষ পর্যন্ত এটি সুপ্রিম কোর্টে গড়াবে। ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় সাত মুসলিম প্রধান দেশ ইরান, লিবিয়া. সিরিয়া, ইয়েমেন, সোমায়িলা ও চাদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন ভেনেজুয়েলার সরকারি কর্মকর্তারাও। এর আগে ৬টি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের উপর এই নিষেধাজ্ঞঅ জারি করা হলেও সুপ্রিমকোর্ট বাধা দেয়। হাওয়াইয়ের একটি আদালতের ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞা আটকে দেওয়া হয়। বুধবার থেকেই এটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিলো। রায়ে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্বাহী ক্ষমতা নেই। গত মার্চে স্থগিতাদেশ জারি করা মার্কিন ডিস্টিক্ট জাজ ডেরিক ওয়াটসন নতুন এই রায় দিয়েছেন। ইরান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিকদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো ট্রাম্প প্রশাসন। দেশগুলো মুসলিম প্রধান হওয়ায় এই পদক্ষেপকে ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’ বলা হচ্ছিলো। তবে নতুন তিনটি দেশ যুক্ত হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা ধারা পাল্টায়নি বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলো। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন রাইটস গ্রুপ জানায়, নতুন তিনটি দেশের অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমেও ট্রাম্প প্রশাসন এড়াতে পারে না যে এটা মুসলিম নিষেধাজ্ঞা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button