প্রথমবারের মতো আকাশে উড়লো চীনের তৈরী বিমান

chainaমার্কিন ও ইউরোপিয়ান মালিকানাধীন বোয়িং ও এয়ারবাস বিশ্বের বড় বিমানের বাজার একতরফা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সে একতরফা বাজারকে এবার হুমকির মুখে ফেলল চীন।
যাত্রীবাহী প্লেনের বিশ্ববাজারে কোমাক সি ৯১৯ মডেলের প্লেনের উপর ভর দিয়েই বোয়িং ও এয়ারবাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে চীন। এবার প্রথমবারের মত আকাশে উড়লো চীনের তৈরি দূরপাল্লার ১৬৮ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম প্লেনটি।
বোয়িং এবং এয়ারবাসের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত এই কোমাক সি৯১৯ এয়ারক্রাফট প্রায় ৯০ মিনিট আকাশে থেকে নিরাপদেই সাংহাইয়ের পুডং বিমানবন্দরে অবতরণ করে। শুক্রবার হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভিড়ের সামনে উড্ডয়ন করা প্লেনটির প্রথম ফ্লাইটে আরোহী ছিলেন মাত্র ৫ জন। তারা সবাই প্লেনটির পাইলট ও প্রকৌশলী।
প্রথম উড্ডয়নে এটি ৩ হাজার মিটার উচ্চতা দিয়ে উড়ে যায়। এ সময় এর সর্বোচ্চ গতি ছিলো ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার। এয়ারক্রাফটি ডিজাইনগত দিক থেকে বোয়িং এর ৭৩৭ এবং এয়ারবাস এ ৩২০ এর সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী। ন্যারো বডির কোমাক সি৯১৯ প্লেনটির ইঞ্জিন দুটি। একবারে সর্বোচ্চ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার পথ উড়তে সক্ষম প্লেনটি।
দামের দিক দিয়ে এয়ারবাস ও বোয়িংয়ের তুলনায় সাশ্রয়ী চীনা প্লেনটি। জানা গেছে, কোমাক সি৯১৯ প্লেনটির প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ৫ কোটি ডলার, যা একই ডিজাইনের বোয়িং ৭৩৭ এবং এয়ারবাস এ ৩২০ প্লেনের দামের প্রায় অর্ধেক।
তবে শুধু পরিকল্পনা কিংবা প্রটোটাইপ নির্মাণেই সীমাবদ্ধ নেই প্লেনটি। ইতোমধ্যেই ২৩ প্রতিষ্ঠানের থেকে এই মডেলের ৫শ’টিরও বেশি প্লেন বিক্রির অর্ডার পেয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোমাক, যাদের বেশিরভাগই চীনা। ফলে শীঘ্রই যে আকাশে ইউরোপ-আমেরিকার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে চীন, একথা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button