চীন-লন্ডন সরাসরি ট্রেন সার্ভিস শুরু

chainaচীন থেকে সরাসরি লন্ডন পর্যন্ত এই প্রথম ট্রেন সার্ভিস শুরু হলো। ইউরোপের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সম্প্রসারণের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে একে।
তবে যাত্রী নয়, শুধু পণ্য পরিবহন করবে এই ট্রেন সার্ভিস। ইউরোপের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ সার্ভিস শুরু করেছে চীন।
মাদ্রিদ, হামবুর্গসহ এরই মধ্যে ইউরোপের বেশ কিছু শহরে মালবাহী ট্রেন সার্ভিস শুরু করেছে চীন। তবে লন্ডন পর্যন্ত তাদের কোনো সার্ভিস ছিল না, যা এবার শুরু হলো।
চীন থেকে লন্ডন পৌঁছাতে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। এ সময়ে পাড়ি দিতে হবে ১২ হাজার কিলোমিটার পথ। এই বিশাল দূরত্ব পাড়ি দিয়ে পোশাক-পরিচ্ছদ, ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে লন্ডনে পৌঁছাবে ট্রেন।
বিমানের চেয়ে কম খরচে এবং জাহাজের চেয়ে কম সময়ে চীন থেকে পণ্যসামগ্রী লন্ডনে পৌঁছানো সম্ভব বিধায় মালবাহী ট্রেন সার্ভিসের দিকে ঝুঁকেছে চীন।
২০১৩ সালে চীন ও ইউরোপের মধ্যে অবকাঠামোগত যোগাযোগ সম্পর্কোন্নয়নের ভিত তৈরি হয়। সাবেক সিল্ক রোডের পাশাপাশি নতুন এই রেলপথ ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চীন সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের দিক থেকে ইউরোপের ১৫তম শহর লন্ডন। ট্রেন যোগাযোগের নতুন এই পথকে ‘নিউ সিল্ক রুট’ বলা হচ্ছে।
চীন থেকে কাজাখস্তান, রাশিয়া, বেলারুশ, পোল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম ও ফ্রান্স হয়ে পূর্ব লন্ডনের মালবাহী ট্রেনের স্টেশন বার্কিংয়ে পৌঁছাবে চীন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন। ইউরোপের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে বার্কিং স্টেশন হাই স্পিড ওয়ান রেললাইন দ্বারা যুক্ত।
চীন থেকে ১২ হাজার কিলোমিটার দূরের লন্ডনে একই ধরনের ট্রেনে পৌঁছানো সম্ভব নয়। কারণ দেশভেদে রেললাইনের ভিন্নতা রয়েছে। কোথাও ব্রড গেজ, কোথাও মিটার গেজ বা অন্য ধরনের লাইন দিয়ে এই দীর্ঘ পথ যুক্ত। ফলে পণ্যসামগ্রী খালাস করে পরিবর্তিত লাইনের ট্রেনে ওঠাতে হবে। পথে লোড-আনলোডের ঝক্কি থাকলেও মালবাহী এই ট্রেন যোগাযোগকে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখছে চীন ও ইউরোপ।
চীনের ইয়ু স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে পণ্যবাহী ট্রেনগুলো। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ইয়ু স্টেশন থেকে চীনের প্রথম পণ্যবাহী ট্রেন হামবুর্গের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button