ব্রিটিশ আর্থিক খাতের জন্য দুঃসংবাদ

UKব্রেক্সিট ভোটের ফলে এ বছরের বাকি অংশ ও আগামী বছরে বিনিয়োগ কমিয়ে ফেলবে ব্রিটেনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এ সময়ে সরকারকে অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে দ্রুততার সঙ্গে। এমন পূর্বাভাষ দিয়েছে ব্রিটেনের আর্থিক খাতে নজরদারি প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব্য চার্টারড একাউন্ট্যান্টস ইন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস (আইসিএইডব্লিউ)।
জুনের ব্রেক্সিট ভোটের পর বৃটিশ ভোক্তাদের চেয়ে বেশি সচেতন হয়েছে কোম্পানিগুলো। আইসিএইডব্লিউ তার পূর্বাভাসে বলেছে, ২০১৬ সালে ব্রিটেনে বাণিজ্যিক খাতে বিনিয়োগ পতন ঘটবে শতকরা ২.৯ ভাগ। ২০১৭ সালে এই পতন দাঁড়াতে পারে শতকরা ৩.৭ ভাগ। ২০১৫ সালে এই বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছিল শতকরা ৫ ভাগ। সে অবস্থা থেকে যদি বিনিয়োগ এভাবে কমেই যায় তাহলে বৃটেনের অর্থনীতি প্রচন্ড একটি ধাক্কার মুখে পড়বে। তাই সম্ভবত বিশেষজ্ঞরা আরও একটি অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এর আগেই।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের কনসালট্যান্টদের বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে আইসিএইডব্লিউ জরিপ এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ১লা আগস্ট। এতে স্পষ্ট হয়েছে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের জন্য গৃহীত ২৩শে জুনের গণভোটের ফলে কিভাবে আর্থিক পতন ঘটতে পারে। তবে আগস্টে কিছু সংগঠনে আংশিক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। কিন্তু উৎপাদন খাতের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা বিনিয়োগের বিষয়ে এখনও উদ্বিগ্ন।
আইসিএইডব্লিউ’র ডাইরেক্টর অব বিজনেস স্টিফেন ইবোস্টোন বলেছেন, এখন সময়টা অনিশ্চিত। এখন সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে যা করতে হবে তা হলো, বৃটেনের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে ভাল কিছু সিদ্ধান্ত দ্রুততার সঙ্গে নেয়া। অক্টোবরে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির বার্ষিক সম্মেলন। সেখানে মন্ত্রীদের কাছ থেকে তিনি এমন কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রত্যাশা করেন। নতুন অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড সম্ভবত নভেম্বরে তার প্রথম বাজেট বিষয়ক বিবৃতি দেবেন। তারও এ বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা থাকা দরকার।
এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের বিষয়ে নিজের কৌশলের কিছু ক্লু দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। সেক্ষেত্রে বৃটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে একক বাজার অর্থনীতির সুবিধা চাওয়ার চেষ্টা করবে। সরকার কিছু করপোরেট পরিকল্পনার দিকে ইঙ্গিত করেছে। তার মধ্যে রয়েছে জাপানের সফটব্যাংকের বৃটেন ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এআরএম। ৩২০০ কোটি ডলারের এই করপোরেট প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে বৃটেনে দীর্ঘ সময় ব্যবসায় কার্যক্রম চালাতে আস্থা ফেরানের চেষ্টা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button